Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০২-২৪ ২৩:২৪:৩২ || আপডেট: ২০১৮-০২-২৪ ২৩:২৪:৩২
কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামে কুলসুমা জান্নাত রিমা (২১) নামের এক গৃহবধুকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঘটেছে এ ঘটনা। কুলসুমা’র স্বামী শাওন কবির ড্রাইভার ওই এলাকার বশির আহমদ ড্রাইভারের পুত্র।
পুলিশ শনিবার সকাল ৮টায় লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত কুলসুমার মা নুরুন্নাহার দাবী করেছেন পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে কুলসুমাকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। শাওন কবির ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের মুছার পাড়া গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের স্ত্রী নুরুন্নাহার জানান, তার জামাতা ড্রাইভার শাওন কবির চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করা একজনের সাথে পরকীয়া প্রেমে পড়েছে। এ কারণে আমার মেয়েকে শাওন কবির প্রায় সময় নির্যাতন করতো। নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে অনেক শালিশ বিচারও হয়েছে। আমার মেয়ে কুলসুমা জান্নাত রিমা স্বামীর পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় শনিবার ভোররাতে তাকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটি রাত ১১টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে কি যেন বলতে চেয়েছিল, কিন্তু মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় আর কথা বলতে পারেনি। সকালে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য খবর দেয়।
নুরুন্নাহার আরো জানিয়েছেন, গত তিনবছর আগে তার মেয়ে কুলসুমা জান্নাত রিমা’র সাথে সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামের বশির আহমদ ড্রাইভারের ছেলে ড্রাইভার শাওন কবিরের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শাওন ২লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছে।
গত রোববার শাওনের বিদেশ ফেরত বড় ভাই হুমায়ুন কবিরের বিয়ের কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ও আমার ভাই শাহেদের কাছ থেকেও ১০হাজার টাকা চেয়ে নিয়েছে। তিনি হাউমাউ করে বিলাপ করে কেঁদে বলেন ‘তারপরও ওরা আমার মেয়েটিকে এভাবে মেরে ফেলতে পারলো?’
এলাকাবাসি জানান, কুলসুমাকে হত্যার পর তার গলায় ওড়না পেচিয়ে দেয়া হয়েছে। শাওন কবির হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। এ ঘটনার আরও আগে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কুলসুমা জান্নাত রিমা’র গর্ভের সন্তানও নষ্ট করে দিয়েছে।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন; ঘরের তীরের সাথে গলায় একটি ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশটি পাওয়া গেছে। শাওন কবিরসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কারও সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। শনিবার সকাল ৮টায় লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।