Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০২ ২০:৩৭:০৫ || আপডেট: ২০১৮-০৩-০২ ২০:৩৭:০৫
বীর কণ্ঠ ডেস্ক :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে সীমান্তে গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও দাবি দেশটির।
শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের ঘুমধুমে পতাকা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একথা জানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, ‘গুলিবর্ষণে বিষয়ে তারা বলেছে, তাদের ওখানে অনেক বন্যপ্রাণী থাকে একারণে গুলি করতে হয়। মানুষ দেখে তারা ফায়ার করেনি বলে তারা জানায়।’ তিনি আরো জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, তোমরা যা করছো তাতে বাংলাদেশে প্যানিক সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং এটা করো না।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ফেরত ঠেকাতেই সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনারা।
তিনি বলেন, ‘তাদের ধারণা ছিলো যে, এখান থেকে কিছু মিয়ানমারের অধিবাসী (রোহিঙ্গা) তাদের সীমানার ভেতরে ঢুকবে। এইজন্য সেখানে তাদের কিছু সেনা অবস্থান করছে।’
গেলো বছরের ২৫ আগস্টের সহিংসতার পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির তব্রু সীমান্তে অবস্থান করছে কয়েকহাজার রোহিঙ্গা। গেলো ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে মিয়ানমারের ঢেকিবুড়িয়ায় বৈঠক হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে। বৈঠকে তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার সরকার। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি তব্রু সীমান্তের শূণ্য রেখায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে অবস্থান করে সাতটি গাড়ি যোগে আসা ২০০ মিয়ানমার সেনাসদস্য। গেলো একমাস ধরে অবস্থান রয়েছে আরো ২০০ সেনার। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সীমান্তে বসবারকারীদের মাঝেও।
সীমান্তে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা বলেন, ‘মিয়ানমার সেনারা ভারী অস্ত্র নিয়ে আছে। তারা বলছে, এখান থেকে সরে যাও। তোমরা অবৈধ্য। ওরা আমাদের জোরপূর্বক বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চায়।’
আরেকজন রোহিঙ্গা বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনারা যেভাবে আমাদের আক্রমণের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, অবশ্যই আমরা আতঙ্কে আছি।’
আরেক রোহিঙ্গা অভিযোগ করেন, ‘রাতের বেলা তারা আমাদের এখানে চলে আসে। দিনের বেলা চলে যাই।’
গেলো ছয় মাস ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২ জন রোহিঙ্গা।- সময় টিভি