Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৪ ১৬:৩৪:৪৫ || আপডেট: ২০১৮-০৩-০৪ ১৬:৩৪:৪৫
বীর কণ্ঠ ডেস্ক :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মারধরে প্রাণ হারালো হোসনে আরা নামের এক বায়োবৃদ্ধ নারী। শনিবার (৩মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলা টইটং ইউনিয়নের পেন্ডার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী একই এলাকার জাকির হোছাইনের স্ত্রী।
নিহতের ছেলে কলিমুল্লাহ বলেন, ঠুনকো অভিযোগের ছুতোয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম শনিবার রাতে আমাদের বাড়িতে ৬-৭জন গ্রাম পুলিশ সদস্য পাঠায়। তারা বাড়িতে এসেই আমার ছোটভাই ফাহিমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এসময় অামার মা কারণ জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাকে গালমন্দ সহ গলাধাক্কা ও কিলঘুষি মারে। এতে তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। এছাড়াও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা হাতের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হলে তিনি স্ট্রোক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মা হোসনে আরা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তাকে মারধর এবং আদরের ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার উপর্যুপরি হুমকিতে স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ মৃত্যুর জন্য টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ও তার পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়ী।
এব্যাপারে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশীর সাথে বিরোধের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রাম আদালতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা না এসে অভিযোগের বাদীর উপর হামলা চেষ্টা চালায়। বিষয়টি বাদী এসে আমাকে অবগত করলে আমি বিবাদী পক্ষকে চূড়ান্ত নোটিশ দিতে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পাঠাই। কিন্তু মারধর তো দূরের কথা তারা কাউকে বকাবকি পর্যন্ত করেনি। শুধুমাত্র নোটিশটি দিয়ে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, হোসনে আরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে ভুগছিলেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক সুরতহালে আঘাতের কোন চিহ্ন ও পরিবারের অভিযোগ না পাওয়াতে লাশ নিহতের পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।