চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

Alauddin Lohagara

বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নাগিন ড্যান্স

প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১৭ ১৪:৪৮:৪৫ || আপডেট: ২০১৮-০৩-১৭ ১৪:৪৮:৪৫

বীর কণ্ঠ ডেস্ক  :

বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নাগিন ড্যান্স। প্রেমাদাসা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মূলধারার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, দেশের কোটি ক্রিকেটানুরাগীদের মাঝে-সর্বত্রই আলোচনায় এ নাচ।

বিশেষ করে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বাংলাদেশ দল ও টিম ম্যানেজমেন্টের এমন ড্যান্স নিয়ে চারদিকে শোরগোলপড়েছে। যা নিয়ে এখন সবাই সরব। তা এ নাচের জনক কে? এমন প্রশ্ন মনের ভেতরে উঁকি দিতেই পারে।

নাচটি মূলত আলোচনায় এসেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। নিদাহাস ট্রফির গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় শ্রীলংকা। মুশফিকের মহাকাব্যিক ৭২ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেই চ্যালেঞ্জ ছুয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক জয়ের পর খ্যাপাটে উদযাপনে মাতেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। প্রদর্শন করেন নাগিন ড্যান্স।

এর পর থেকেইআলোচনার ডালপালা মেলছে এটি। অঘোষিত সেমিফাইনালে শ্রীলংকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের পর টাইগারদের এর প্রদর্শনী আরও তা গজিয়ে দিয়েছে।

এ নাচ নেচে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা বিখ্যাত হলেও এটির জনক আসলে নাজমুল ইসলাম অপু। গতকালও একাদশে ছিলেন তিনি। তবে বল করতে পাননি। ফিল্ডিং করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। অবশ্য শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাড পরে ব্যাটিংয়ে অপেক্ষাই ছিলেন।

২০১৬ সালে বিপিএলে নাগিন নাচ নেচে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি কাড়েন নাজমুল। সর্বশেষ বিপিএলে এর প্রদর্শনী দেখিয়ে ভালোভাবে পরিচিতি পেয়ে যান তিনি। উইকেট পাওয়ার পর উদযাপন করতে গিয়ে বিনের সুরে মাথার ওপর দুহাত তুলে নাগিনের মতো করে নাচেন তিনি।

পরে সাকিবের অনুপস্থিতিতে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পান অপু। উইকেট পেলেই এ উদযাপন করতে দেখা গেছে। তাতে সঙ্গ দিয়েছেন সতীর্থরাও। এক পর্যায়ে গোটা দলের মধ্যেই তা সংক্রমিত হয়েছে।

উপলক্ষ পেলেই ম্যানেজমেন্টের সদস্য থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার ক্রিকেটপ্রেমীরাও এ নাচ নাচছেন। শুধু বাংলাদেশিরা না, এ নাচে মত্ত শ্রীলংকার ক্রিকেটার ও দর্শকরাও।

বিপিএলের সবশেষ আসরে এক ম্যাচ শেষে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নাজমুল বলেন, ২০১৬ সালে রাজশাহী কিংসে খেলার সময় ড্যারেন স্যামিকে সাপের নাচদেখালে ভয় পেত,মজাও পেত। সেখান থেকে শুরু।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *