Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১৯ ১৮:৩৫:০৮ || আপডেট: ২০১৮-০৩-১৯ ১৮:৩৫:০৮
বীর কণ্ঠ ডেস্ক :
পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বুধবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিন লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পটিয়াকে জেলা করার দাবী থাকছে না। সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।লিখিত বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পন্ন জানিয়ে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ জেলার সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রী সার্বিক সহযোগিতা করছেন। নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার জনসভার মাঠ পরিদর্শন ও মনিটরিং করেছেন। আটটি সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি মাইকিং, পোস্টার ও প্রচারপত্র বিলির মধ্য দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি জানান, মাঠের বাইরে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কে মাইক লাগানো হবে। দূরপাল্লার যানবাহন গাছবাড়িয়া-বরকল-আনোয়ারা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করবে। শুধু জনসভার গাড়িগুলো পটিয়ায় আসবে। পটিয়ার দক্ষিণ দিক থেকে আসা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, বান্দরবান ও রাঙামাটির গাড়িগুলো চক্রশালায় নেতা-কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে বামে নতুন বাইপাসে ঢুকবে। আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলার গাড়িগুলো নেতা-কর্মীদের ইন্দ্রপোলের আগে নামিয়ে ডানে মোছলেম উদ্দিন আহমদ জানান, জনসভার আশপাশে পাবলিক টয়লেট ও পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে।
তিনি জানান, কর্ণফুলী নদীতে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্ত, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে বন্দর সম্প্রসারণ, দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি বিভাগীয় মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার আরাকান সড়ক চার লেন করার সরকারি ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা থাকবে।