Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-২০ ১৬:২১:২৮ || আপডেট: ২০১৮-০৩-২০ ১৬:২১:২৮
বীর কণ্ঠ ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরীতে ইয়াবা চালান পরিবহনের সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন- মিজানুর রহমান (৩৬), জসিম উদ্দিন (২৮), কাজী আবুল বাশার (২৫), আবদুল্লাহ আল মামুন (৪০) এবং আবু তাহের (৩৮)। এরা সবাই কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার রাতে অনন্যা আবাসিক এলাকা এবং লালদীঘির পাড় এলাকায় তাদের আটকের সময় ৬৩ হাজার ইয়াবা, ১০ লাখ টাকা ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবীর বলেন, একটি খালি মিনি ট্রাক করে ইয়াবা নিয়ে কয়েকজন কুমিল্লায় পাচারের জন্য চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান ফেরী পার হচ্ছে এমন তথ্য পাই।
“এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমরা অনন্যা আবাসিক থেকে অক্সিজেনমুখী সড়কের ওয়াজেদিয়া এলাকায় অবস্থান নিই। থামার সংকেত দিলেও মিনি ট্রাকটি চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাবেয়া শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ট্রাকে থাকা তিন জনকে আটক করি।”
জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পরিবহনের কথা স্বীকার করলে ট্রাকের পেছনের অংশের নিচের দিকে বিশেষভাবে তৈরি চেম্বারে ইয়াবার সন্ধান পায় পুলিশ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই চেম্বারের ভেতর থাকা একটি প্যাকেটে ৬৩ হাজার ইয়াবা ছিল।
“জিজ্ঞাসবাদে ওই তিনজন জানায়, কুমিল্লার নিমসার বাজারে ইয়াবাগুলো নিরাপদে পৌঁছে দিতে আবদুল্লাহ আল মামুন ও আবু তাহের চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থান করছে।”
এই তথ্য পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নগর পুলিশের সদর দপ্তরের (সিএমপি) অদূরে লালদীঘি জেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে মামুন ও আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় মামুন ও আবু তাহেরের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবার মূল্য পরিশোধের জন্য আনা ১০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলার বড়ুরা থানার মহেশপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের (৩২) কাছে সরবরাহের জন্যই তারা ইয়াবাগুলো নিয়ে যাচ্ছিল।
“দেলোয়ারের কথামতই বান্দরবান পুলিশ লাইন সংলগ্ন প্রধান সড়কে এক উপজাতি মহিলা ট্রাকে থাকা তিন জনের কাছে ইয়াবাগুলো সরবরাহ করে।”
এ ঘটনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার পাঁচজন, দেলোয়ার হোসেন এবং অজ্ঞাতনামা উপজাতি মহিলার বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিডিনিউজ