Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-২১ ১২:২০:৫৪ || আপডেট: ২০১৮-০৩-২১ ১২:২০:৫৪
বীর কণ্ঠ ডেস্ক :
চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতি ভাস্কর্য স্থাপন করেছে নৌবাহিনী, যে প্রতিকৃতিকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে নৌবাহিনী নির্মাণ করেছে ভাসমান জাহাজের আদলে সুদৃশ্য বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ও ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছেন।
বুধবার (২১ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে পৌঁছে প্রথমেই নেভাল একাডেমির নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতির পিতার স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮ ফুট উঁচু ভাস্কর্য যা সমতল থেকে ২৩ ফুট উঁচুতে আছে। ব্রোঞ্জের তৈরি এই ভাস্কর্যের ওজন প্রায় ১৮ মেট্রিক টন।
বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সর মূল একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়েছে জাহাজের সম্মুখভাগের আদলে। দেখতে একটি বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজের মতো। কমপ্লেক্সে ১৬টি পৃথক ভবন ও বিভিন্ন অবকাঠামো আছে। এতে আছে একাডেমিক ভবন, ট্রেনিং উইং, ওয়ার্ড রুম, প্যারেড গ্রাউন্ড সুইমিং পুল, রোটপুল ও বাসস্থান। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এতে আছে সীম্যানশিপ, এন্টি সাবমেরিন, গানারী ও কমিউনিকেশন মডেল রুম, চার্ট রুম, সুপরিসর লাইব্রেরি, কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব এবং অডিটোরিয়াম। এছাড়াও আছে প্রযুক্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য সাতটি বিজ্ঞানাগার।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর তিনি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্রে নৌবাহিনীর সকল অপারেশনাল কর্মকাণ্ডকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বীকৃতি দিতেই এই স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হচ্ছে।