চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Alauddin Lohagara

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর সারানোর মতোই: ডা. শাহাদাত হোসেন

প্রকাশ: ২০১৮-০৩-২২ ২২:১৯:২৭ || আপডেট: ২০১৮-০৩-২২ ২২:১৯:২৭

বীর কণ্ঠ ডেস্ক :

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের জনসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর সারানোর মতোই। চট্টগ্রামবাসী আশা করেছিল কালুরঘাট তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা। চট্টগ্রামের গণমানুষের দাবি জলাবদ্ধতা নিরসনের মহাপরিকল্পনার ঘোষণা। কিন্তু এর কোনটিই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে না আসাতে চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ হতাশ হয়েছে।

তিনি আজ ২২ মার্চ বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন কিন্তু চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ এই সরকারের কাছ থেকে চট্টগ্রামবাসী উপহার পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটাপ্রথা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদেরকে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়েছে এই অবৈধ সরকার। আওয়ামীলীগের সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের এদেশের জনগণ মানে না। এই সব কোটাপ্রথার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত করবে। নকল করার সুযোগ দিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করে মেরুদন্ডহীন জাতি করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। বেগম জিয়ার সাথে নির্বাচন করার কোন প্রার্থী আওয়ামীলীগে নেই বলে তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে বন্দি করে রেখে আওয়ামীলীগ যেভাবে সভা সমাবেশে নৌকায় ভোট চাচ্ছে এটা নজিরবিহীন। সভায় নগর বিএনপির সি. সহ সভাপতি

আবু সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভায় মুক্তিযোদ্ধার কোটাপ্রথা নিয়ে অনেক মায়াকান্না করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপতিদের কোটা সুবিধা দেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারের সাথে বর্তমান সরকারের আচরণ এই বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ছৈয়দ আজম উদ্দিন, নাজিমুর রহমান, সুবুক্তগীন মক্কী, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আরম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্মসম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, এসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মো. আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সামশুল হক, গাজী সিরাজউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। –পাঠক ডট নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *