Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-২৪ ০১:৫২:৪৮ || আপডেট: ২০১৮-০৩-২৪ ০১:৫২:৪৮
মোহাম্মদ ইলিয়াছ :
লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগরের কুলপাগলী একটি দুর্গম এলাকা। এখানে বসবাস করে ৬০ পরিবারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাসহ কুলপাগলীর শত শত মানুষ। আর এলাকায় আলুসহ প্রচুর শাক-সবজি ফলে।
দুর্গম এ পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে একমাত্র কুলপাগলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নেই কোনো উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলে গেছে মাটির কাঁচা রাস্তা কুলপাগলী সড়ক। এলাকাবাসীর চলাফেরার জন্য এটি প্রধান ও একমাত্র সড়ক। অথচ শুষ্ক মৌসুমে সড়কটি দিয়ে কোনোমতে চলাফেরা করা গেলেও বর্ষাকালে চলাচলে বেগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। এ সড়কের পশ্চিমে অংশে রয়েছে কুলপাগলীর ছড়া। ছড়ার উপর সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে একটি পিআইও ব্রিজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজ নির্মিত হয়েছে ঠিক কিন্তু ব্রিজ দিয়ে চলাচলে সুবিধাজনক রাস্তা নেই। অর্থাত্ ব্রিজ আছে, রাস্তা নেই। এলাকাবাসী ও কৃষকরা রাস্তার কারণে নির্মিত ব্রিজের সুবিধা নিতে পারছে না। ব্রিজের পূর্ব অংশের রাস্তা ব্রিজ থেকে বহু নিচে। আর ব্রিজের পশ্চিম পাশে চলাচলের পথ নেই বললেই চলে। অথচ এলাকার কৃষকরা প্রতিনিয়ত এ অবহেলিত রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে।
এলাকার নুরুল কবির জানান, এলাকার কৃষকদের চলাফেরার জন্য কুলপাগলী রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুলপাগলী ছড়ার উপর ব্রিজ নির্মিত হয়েছে তা যথার্থ হয়েছে। কিন্তু রাস্তার সমস্যার কারণে ব্রিজটির সুফল নিতে পারছে না কৃষকসহ এলাকাবাসী। তাই তিনি ব্রিজের উভয় পাশের রাস্তাসহ কুলপাগলী রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব আলম জানান, তিনি ব্রিজসহ কুলপাগলী সড়ক পরিদর্শন করেছেন। ব্রিজটির সুফল যাতে এলাকাবাসীসহ কৃষক পায় তার জন্য ব্রিজের উভয় পাশের রাস্তাসহ কুলপাগলী সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।