admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-০১ ০০:৪৫:২৩ || আপডেট: ২০১৮-০৪-০১ ০০:৪৫:২৩
নাজিম উদ্দীন রানা,বীর কন্ঠ:
ছোট শিশু অাফিয়া।বয়স ২ বছর।খেলতে গিয়ে তার পস্রাবের রাস্তার একটি জোক ঢুকে যায়।অনবরত কান্না করতে থাকে।প্রথমে কেউ বোঝতে কিংবা খেয়াল করতে পারেনী।হঠাৎ দেখতে পায় পস্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছে।
কোন উপায় না দেখে তাড়াহুড়ো করে নিয়ে যায় চাম্বি মফিজ বাজারস্হ স্হানীয় পল্লী চিকিৎসক মোরশেদ অালমের কাছে।পরিস্হিতি তার অনুকূলে না থাকায় সে জরুরী ভিত্তিতে চট্রগ্রাম মেডিকেেল নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন।
অভিভাবকরা কোন উপায় না দেখে তারপর ছুটে যান স্হানীয় অাজিজনগর জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালের প্রধান ডাঃ জেমস ইটেন তখন হাসপাতালে ছিলেন।তিনি দেখেই বললেন কোন সমস্যা নয় ১০ হাজার টাকা দিলে সমাধান হয়ে যাবে পরে অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে টাকা দিতে রাজী হন।ডাঃ জেমস টাকার লোভ সামলাতে না পেরে শিশু কন্যাটির পস্রারের রাস্তা সেলাই করে দেন।তারপর ও ব্লাডিং বন্ধ হচ্ছেনা দেখে ডাঃ শিশুটিকে বাড়ী নিয়ে যেতে বলেন।শিশুটির কান্না ও ব্লাডিং যখন বন্দ করা যাচ্ছিলনা তখন তারা দ্রুত লোহাগাড়া মা মনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ এ অপ ও জঘন্য চিকিৎসার নমুনা দেখে অবাক হন।তিনি ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়ে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চ মে কে পাঠানোর ব্যবস্হা নিতে বলেন।চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের ডাক্তাররা এমন অবস্হা দেখে ক্ষেপে যান।পরে অভিভাবকের কান্না অার অাকুতির কাছে হার মেনে শিশুটির অনিশ্চিত জীবন ধারনা করে চিকিৎসার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসির ব্যবস্হা করেন।সকলের দোয়া মহান অাল্লাহর অশেষ কৃপায় দীর্ঘ ১৫ দিন চিকিৎসার পর বিছুটা সুস্হ হয়ে অাসে।তবুও এখনো পুরোপুরি শংকামুক্ত নয়।
অাজ দুপুরে সরে জমিনে শিশুটির বাড়ী উত্তর হারবাং গাইনা কাটায় বিজয় টিভির লোহাগাড়া সাতকানিয়া প্রতিনিধি সেলিম উদ্দীন সহ সেখানে গেলে শিশুর দাদী ঘঠনার বিবরণ দিয়ে অঝোর ধারার কাদতে থাকেন। প্রতিবেশিরা ও একই সুরে এ জঘন্যতম কর্মকান্ডের বিচারের দাবি জানান
।।সকলের দাবি অাজিজনগর জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ ইটেনের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বন্ধ হোক।