চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

admin

এইচএসসি’র কেন্দ্রে যাওয়া হলনা শান্তার

প্রকাশ: ২০১৮-০৪-০২ ১১:০৯:১৪ || আপডেট: ২০১৮-০৪-০২ ১১:০৯:১৪

ডেস্ক রিপোর্ট, বীরকন্ঠ:

এইচএসসির আগেই চলে যেতে হলো শান্তাকে!

দীর্ঘদিন প্রেম করেও বিয়ে করতে অপারগতা জানানোয় আত্মহত্যা করেছে কিশোরগঞ্জের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শান্তা। স্বপ্নের মানুষটির কাছ থেকে কঠিন আঘাত পেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে শান্তা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থী। অনেক দিন ধরেই প্রতিবেশী লাল মিয়ার মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মাইনুল হোসেনের সঙ্গে শান্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক এক সময় গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে।

কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই নানা টালবাহানা শুরু করে মইনুল। তাই ক্ষোভে গত ২৬ মার্চ সকালে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ফাসিঁতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শান্তা। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ঢাকায়।

শান্তার পরিবার জানায়, মাইনুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক টানা চার বছর ধরে। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করে মাইনুল। এরই এক পর্যায়ে গত ২৫ মার্চ বিয়ে করবে বলে শান্তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় মাইনুল। পরদিন ভোরে পারিবারিকভাবে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শান্তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি দুই পক্ষের পরিবারও অবগত হয়। বাড়িতে পাঠানোর পর থেকে কয়েক দফা শান্তার সঙ্গে ফোনে ঝগড়া হয় মাইনুলের। এক পর্যায়ে শান্তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে মাইনুল জানিয়ে দেয়। এরপরই আত্মহতার চেষ্টা করে শান্তা।

শান্তার বড় ভাই মিজানুর রহমান জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার সময় চাচী দেখে চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার দ্রুত কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে মারা যায় শান্তা।

রশিদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া জানান, মাইনুল সঙ্গে শান্তার প্রেমের বিষয়ে কয়েক মাস আগে দরবার হয়। কিন্তু মাইনুলের পরিবার শান্তাকে বউ করতে রাজি হয়নি। ছেলে বিয়ে করতে পারবে না এ কথা শোনার পরই আত্মহত্যা করে মেয়েটি।

এদিকে রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ আনা হয় শান্তার মরদেহ। তার মরদেহ এলাকায় পৌঁছালে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় মাইনুল ও তার পরিবার।

এ ব্যাপারে রাতেই কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় শান্তার বাবা ফিরোজ মিয়া আত্মহত্যার প্ররোচণায় মামলা করবেন বলেও জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *