admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-০৪ ১২:২৫:৩৩ || আপডেট: ২০১৮-০৪-০৪ ১২:২৫:৩৩
বীর কন্ঠ ডেস্ক :
অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানোর সময় এক নারীর জরায়ুসহ নবজাতকের মাথা বিছিন্ন করার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে কুমিল্লার সিভিল সার্জন, কুমিল্লা মেডিকেলের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ৫ চিকিৎসক হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন। তাদের আদালতে হাজির হতে গত ২৫ মার্চ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহারিচালক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, কুমিল্লার সিভিল সার্জন, মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পরিচালক, অস্ত্রোপচারে নেতৃত্বদানকারী চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেলের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান করুণা রানী কর্মকারসহ অস্ত্রোপচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
‘ডাক্তার দুই খণ্ড করলেন নবজাতককে’ শিরোনামে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান নজরে আনলে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আসাদুজ্জামানের সঙ্গে আরও অংশ নেন আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ, ফারহানা ইসলাম খান ও আনিসুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলেখা আক্তার নামে এক প্রসূতির স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সময় চিকিৎসকরা সন্তানের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেন। পরে সিজার করে বের করা হয় কাটা মাথা, কেটে ফেলা হয় ওই প্রসূতির জরায়ু।
জুলেখা আক্তার (৩০) মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সফিক কাজীর স্ত্রী। গত ১৭ মার্চ প্রসব বেদনা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন ১৮ মার্চ তার সন্তান প্রসব হয়।
চিকিৎসকরা জানান, প্রসূতির গর্ভের সন্তান মৃত ও অস্বাভাবিক পজিশনে ছিল। কিন্তু, শিশুটির হাত-পা জরায়ু মুখ দিয়ে বের হয়ে চলে আসায় বাধ্য হয়ে অপারেশনের মাধ্যমে মৃত শিশুর দেহ ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলাদাভাবে বের করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জরায়ু কেটে ফেলা হয়।
সিজারিয়ানের আগে এসব বিষয়ে প্রসূতির স্বামীর অনুমতি নেয়া হয়েছে এবং এতে চিকিৎসকদের অবহেলা ছিল না বলে তারা দাবি করেন।
তবে প্রসূতি ও তার স্বামীর অভিযোগ, হাসপাতালে আসার পরও পেটের সন্তান নড়াচড়া করেছে। চিকিৎসকরা তাদের কাছে সমস্যার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
জানা গেছে, অপারেশন থিয়েটারে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. করুনা রানী কর্মকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের চিকিৎসক দল ওই অপারেশন করেন। চিকিৎসক দলের অন্যরা হলেন- ডা. নাসরিন আক্তার পপি, ডা. জানিবুল হক, ডা. দিলরুবা শারমিন ও ডা. আয়েশা আফরোজ।
তাদের সঙ্গে কুমিল্লার সিভিল সার্জন আব্দুল মজিদ ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারীকে হাইকোর্ট তলব করেন।- -পরিবর্তন ডটকমক