চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

চন্দনাইশে খোকা হত্যা মামলায় ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের স্থায়ী জামিন লাভ

প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৫ ১৫:২৩:০৯ || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৫ ১৫:২৩:০৯

এসএম রাশেদ, চন্দনাইশ প্রতিনিধি: 

উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা  নুরুল ইসলাম খোকা হত্যা মামলার আসামি ১০নং ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম গত ২৪ জুলাই সকালে চীফ-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে দু’জন জিম্মিদারের মাধ্যমে স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ৪ এপ্রিল বিকালে জায়গা সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে ধোপাছড়ি চিড়িংঘাটা এলাকায় উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল ইসলাম খোকাকে প্রতিপরে লোকজন গুলি করে, ছুরিকাঘাত, রড, কিরিচ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে খোকার ভাই জমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে ধোপাছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে  একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সে মামলার সূত্র ধরে পুলিশ এজাহার নামীয় ৭ আসামিকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে মো.নাসির উদ্দিন, মো. কাইসার, নুর হোসেন আদালতে স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তৎমধ্য হাজতে অসুন্থ হয়ে কাইসার মারা যান।

চেয়ারম্যান মোরর্শেদ গত ১২ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে আত্মসমর্পন পূর্বক আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের জন্য জামিনের আদেশ দেন। জামিনে আসার পর ২৪ এপ্রিল মোরশেদ চেয়ারম্যান নিজেকে নিদোর্ষ দাবী করে ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, খোকা হত্যার সাথে তার নৃন্যতম সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,তিনি এলাকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তিনি যুগ যুগ ধরে দূর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট,কালভার্ট ও শিা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন েেত্র ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন।

তার এ জনপ্রিয়তায় ইষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কুমানসে তাকে পরিকল্পিতভাবে খোকা হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খোকা ছিড়িংঘাটা তথা ধোপাছড়ির কৃর্তি সন্তান বলে আখ্যা তিনি লিখিত বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন, যেদিন সন্ত্রাসীরা খোকাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ধোপাছড়ির উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে চন্দনাইশ উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে নিন্ম আদালতে মোরর্শেদ চেয়ারম্যান হাজির না হলে গত ১০ জুন ধার্য্য তারিখে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন। এদিকে গত ১০ মে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সে অসুস্থতার কারণে ভারতে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর আবারও মহামান্য হাইকোর্টে আত্মসমর্পন করলে হাইকোট ১ সপ্তাহের মধ্য নিন্ম আদালতে জামিনের জন্য নিদের্শ দেন। পরে গত ২৪ জুলাই চীফ-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে আত্মসমর্পন জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত তাকে দু’জন জিম্মিদারের মাধ্যমে স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

 

এ ব্যাপারে ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাই কোটের ৪ সপ্তাহের জামিনের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা শেষে হাই কোটে আবারো জামিন প্রার্থনা করলে মহামান্য হাই কোর্ট ১ সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়ে নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

 

সে মতে সে গত ২৪ জুলাই চীফ-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে স্থায়ী জামিন দেন। তিনি আরো বলেন, ধোপাছড়ির উন্নয়নে ও এলাকাবাসীর সুখে,দুঃখে পাশে থাকার জন্য জনগণের বিপুল ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারই ধারাবাহিকতা তিনি বর্জায় রাখবেন। এদিকে তার স্থায়ী জামিন লাভ করায় ধোপাছড়ির লোকজন ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিলেও অনেকেই বলছেন, এতদিন চেয়ারম্যান না থাকায় আমরা বিভিন্ন কাজে বাঁধাগ্রস্থ হয়েছিলাম। তার স্থায়ী জামিনের কথা শুনে আবার অনেকেই খুশি হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *