admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৫ ২১:১২:২৮ || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৫ ২১:১২:২৮
নিউজ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে [টিএসসি] এক যুগলের চুমুর দৃশ্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় এখন তুঙ্গে। গত দু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ ছবি নিয়ে কম কথা হয়নি। অনেকেই বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে না দেখে ইতিবাচক দৃষ্টিতেও দেখছেন। কেউ কেউ আবার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজের প্রেয়সীর সঙ্গে চুমুর ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে উন্মুক্ত করতে শুরু করেছেন। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি তারকারাও। ২৫ জুলাই, প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে একটি চুমুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা টনি ডায়েস।
অভিনেতার পোস্ট করা ছবিটি ছিল ১৭ বছর আগের তোলা। এটি ছিল তাদের বিয়ের ছবি। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রিয়া ডায়েসকে বিয়ে করেন টনি। এ জুটির বিয়ের উৎসবে চুমুর দৃশ্যটি ফ্রেমবন্দী করেছিলেন আলোকচিত্রী রফিকুর রহমান রেকু। তাই টনি ডায়েস ১৯ ঘণ্টা আগে ছবিটি পোস্ট করে ‘ফিলিং লাভড’ দিয়ে লিখেছেন, ‘অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ফটোগ্রাফার রেকু ভাই সুন্দর ছবিটার জন্য।’ এরপর তিনি হাসি ও লাভের ইমো ব্যবহার করেন তার পোস্টে।
বিয়ের দিন বড়-কনের সাজে তোলা এ ছবিটিতে যুগলকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেককেই। বর্তমানে স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন টনি। তবে দেশের বাইরে থাকলেও বাংলাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভার্চুয়াল জগতে সংযুক্ত থাকতে দেখা যায় এ তারকাকে। তারই একটি প্রমাণ হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে পোস্ট করা তার এ ছবিটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তরুণ জুটির বহুল আলোচিত এ চুম্বন দৃশ্যের ছবিটি তুলেছিলেন আলোকচিত্র সাংবাদিক জীবন আহমেদ। জীবন আহমেদ জানান, বৃষ্টির দিনে তিনি যখন ছবিটি তুলছিলেন তখন তাকে ছবি তুলতে দেখেও কোনো আপত্তি জানাননি ওই জুটি। তাই তাদের নিরবতাকেই সম্মতি হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। এরপর ২৩ জুলাই তিনি ছবিটি তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন ‘বর্ষা মঙ্গল কাব্য, ভালোবাসা হোক উন্মুক্ত।’ কিন্তু এটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটা তড়িৎ বেগে ছড়িয়ে পরে ইন্টারনেটে। ছবিটি এভাবে ভাইরাল হতে দেখে জীবন আহমেদ তার অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি সরিয়ে নেন।
কিন্তু এখানেই সব শেষ হয়ে যায়নি। জানা যায়, এ ছবিটি তোলার কারণে রেগে গিয়ে এ আলোকচিত্রীকে টিএসসিতে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন তার মতো একই পেশায় থাকা কিছু বিক্ষুব্ধরা।