স্থানীয়রা জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার বাঁচা মিয়ার ঘোনা ও রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধস হয়। এতে একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হন। পাহাড় ধসে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বাঁচা মিয়ার ঘোনা এলাকার সৌদিপ্রবাসী মো. জামাল হোসেনের মেয়ে মর্জিয়া আক্তার (১৪), কাফিয়া আক্তার (১০) ও খায়রুন্নেছা (৬) ও ছেলে আব্দুল হাই (১০)। এ ঘটনায় জামাল হোসেনের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম আহত হয়েছেন।
পাহাড় ধসের পর স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চার ভাইবোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে মোর্শেদ আলম (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মোর্শেদ ওই এলাকার জাফর আলমের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান ঘটনাস্থলে মাটিচাপা পড়ে এক পরিবারের চার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, শহরের অভ্যন্তরে থাকা ছোট বড় ১২টি সরকারি পাহাড় দখল করে বসতি গড়েছেন লাখো ভাসমান মানুষ। গত জুন মাসে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকি নিয়ে বসতি করা প্রায় ৯০০ পরিবারের তালিকা তৈরি করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলে। এরই মধ্যে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত ১০ বছরে একাধিক পাহাড় ধসের ঘটনায় ৬ সেনাসদস্যসহ অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুল হক জানান, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত তিন দিন ধরে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এতে আরও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।