admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৬ ২১:১৪:১৯ || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৬ ২১:১৪:১৯
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চন্দনাইশের হাশিমপুর এম.এ.কে ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমদ ফারুকী (৪৬) কে স্থায়ী স্কুল থেকে বরখাস্ত করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৬ জুলাই সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৬ষ্ট থেকে ১০ শ্রেণীর শিার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে অংশ গ্রহণ করেন। পরে তারা স্থানীয় সড়কসহ মহাসড়কের বাগিছাহাট এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমদ ফারুকী দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ছাত্রীদের শ্লীনতাহানীর শ্রেষ্টা করত। কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিল না। গত ১৮ জুলাই ৭ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শ্লীনতাহানীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আ.ন.ম বদরুদ্দোজা নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করার আহবান জানান।
মানববন্ধনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিজাম উদ্দীন এবং চন্দনাইশ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নেমে এ ধরণের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ না করে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করার জন্য প্রধান শিক্ষকের বরাবর লিখিত প্রতিবাদ জানানোর পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, হাশিমপুর এম.এ.কে ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনীর ৪/৬জন ছাত্রীকে ১৭ জুলাই বিকাল ৪টায় স্কুল ছুটি হওয়ার পর পরীক্ষার খাতা সিরিয়াল করে দেওয়ার নাম করে ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমদ একটি কাস রুমে সকলকে বসতে বলেন, সেখান থেকে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী রহিমা আক্তার (ছদ্মনাম) কে আরেকটি কাস রুমে নিয়ে গিয়ে শ্লীনতাহানীর চেষ্টা করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রীকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বাড়ীতে এসে রহিমা আক্তার কাঁদতে থাকে। পরে তার মা জানতে চাইলে সে খুলে বলে। রহিমার মা বাদী হয়ে ১৮ জুলাই দুপুরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগসহ ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেলে নির্বাহী অফিসার অভিযুক্ত শিক্ষককে কার্যালয়ে হাজির করে উভয়ের জবানবন্দী নিয়ে শিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে চন্দনাইশ থানা পুলিশকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।