admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৮ ২১:০৮:৫৪ || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৮ ২১:০৮:৫৪
কাইছার হামিদ:
লোহাগাড়ায় প্রতি মাসে সিএনজি অটো রিক্সায় অর্ধ কোটি টাকার টোকেন বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর নিয়ে ও সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, পুরো লোহাগাড়া উপজেলায় সাড়ে চার হাজার সিএনজি অটোরিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে চলছে প্রায় দু’হাজার সিএনজি অটোরিক্সা।
এসব সিএনজি অটোরিক্সাগুলো মাসিক দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মাশুহারায় মহাসড়কে চলে। লোহাগাড়ার প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল, সাংবাদিক ও ট্রাফিক পুলিশের নির্দ্দিষ্ট করে দেওয়া বিশেষ সংকেত (চিহ্ন) ব্যবহার করে সিএনজি অটোরিক্সাগুলো অবৈধভাবে চলাচল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে প্রতিমাসে সিএনজি অটো রিক্সায় অর্ধকোটি টাকার টোকেন বাণিজ্য হচ্ছে। সবাই জেনেও যেন না জানার ভান করছে।
গাড়ীর কাগজপত্র বা বৈধতা থাক বা না থাক ট্রাফিক পুলিশদের ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য সংকেত (চিহ্ন) ব্যবহার করেই এসব গাড়ী চলাচল করে থাকে বলে জানিয়েছে সিএনজি অটোচালকগণ। এ সংকেত বা চিহ্ন থাকলে ট্রাফিক মামলা হয় না। অন্যথায় মামলাসহ মোটা অংকের জরিমানা হয়।
এ ভয়ে মাসিক সিএনজি অটোরিক্সা প্রতি দুই হাজার টাকা দিয়ে টোকেনসহ এ চিহ্ন নেয় চালকরা। আর এ সব টোকেন ও চিহ্ন নিতে হয় কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, কিছু তথা কতিথ সাংবাদিক ও লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ হতে। এ সব কথা জানিয়েছেন একাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চালক। সরেজমিনে দেখা যায়, সংকেত (চিহ্ন)গুলো হচ্ছে মা পরিবহন, ইংরেজিতে লিখা এম এ, এন বি, টি আর এক্স, এ আর, জি পি, এস ও, এইচ জেড, জে এ, জেড ও প্লাস, মোবাইল নং লাস্ট থ্রি সেভেন ফাইভ, এইচ, বি এল, মাইনাস সিক্স জিরো, এ এ, এল এম এস, এল এস এস, কে জিরো জিরো চিহ্নিত গাড়ী বেশী চলাচল করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব সংকেত (চিহ্ন) দেওয়া থাকলে ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে গাড়ীগুলো নিরাপদ থাকে। অন্যথায় মামলা, জরিমানার শিকার হতে হয়। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মুজিবুল হক কোন সুদোত্তর দিতে পারেনি।
মহাসড়কের বেপরোয়া সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ ও টোকেন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।