admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৯ ১৯:৫১:০৯ || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৯ ১৯:৫১:০৯
আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া, প্রতিনিধি :
ষাটোর্ধ্ব নুরু”ছফা ২৪ শতক জমিতে কড়লা, ফল, ঝিঙে ও মরিচ খেত করেছেন। নদীর পাশে জমি হওয়ায় ভাঙ্গনে তার ১২ শতক জমি নদীতে চলে গেছে। সব্জি খেত ও জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় তিনি এখন নি:স্ব হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ফুলবাগিচা এলাকায় গেলে ইছামতি নদী’র ভাঙ্গনে নুরু”ছফা’র মতো নাসির, হোসেন, বাদশাসহ আরো অন্তত ১০ জন চাষীর জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার কথা চাষীরা নিজের মুখে বর্ণনা দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে দক্ষিণ রাজা নগর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গ্রামের সর্দার পাড়া , শীল পাড়া নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। মূল রাঙ্গুনিয়ার সাথে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার যোগাযোগের মাধ্যম পারুয়া-রাণীর হাট ডিসি সড়কের ফুলবাগিচা এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠেছে সড়কটি।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সংবাদকর্মী যাওয়ার খবরে জড়ো হন এলাকার মানুষ। তাঁরা নদী ভাঙ্গনে এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এসময় স্কুল থেকে ফিরছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁরা নদীর পাড় ঘেঁষে পায়ের জুতা হাতে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যা”িছল। জানতে চাইলে , ফুলবাগিচা উ”চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তারেক বলেন, “ স্কুলে যাওয়ার মূল রাস্তাটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় ঘেঁষে চলাচল করতে হয়। গ্রামের লোকজন এই রাস্তায় চলাফেরা করে। বৃষ্টি হলে কাঁদা মাটি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় কাঁদায় কাপড় চোপড় বই খাতা নষ্ট হয়ে হয়ে যায়। তখন আর স্কুলে যাওয়া হয়না। ”
এলাকার ইউপি সদস্য আবদুল কাদের বলেন, “ অপরিকল্পিত বালু তোলা ও প্লাবনের কারনে ভাঙ্গন তীব্রতর হয়ে উঠে। বিগত বছরে ইছামতির ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে ফুলবাগিচা খয়রাতি পাড়ার ৩০ টি কাঁচা বসতঘর। ভাঙ্গনে এলাকার শিয়ালবুক্কা গ্রামের চলাচলের একমাত্র পথটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় খেতের মাঝখান দিয়ে চলাচল করছে এলাকার মানুষ। উত্তর রাঙ্গুনিয়ার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগের মূল সড়কটিও নদীর ভাঙ্গনের মুখে। এ বর্ষায় ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে সড়কটি নদীতে তলিয়ে উপজেলা সদরের সাথে এলাকার যোগাযোগ বি”িছন্ন হয়ে পড়বে। ”
উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, “ গুরুত্বপূর্ন সড়কটি ভাঙ্গনে নদীর কাছাকাছি চলে এসেছে। সড়কটি নদীতে তলিয়ে গেলে এলাকার মানুষ দূর্ভোগে পড়বে। বিষয়টি আমরা আমাদের উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, “ ফুল বাগিচায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”