চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin

‘আন্দোলনে ছাত্রদল-শিবির ঢুকছে’

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-০২ ২৩:৪৩:৪৫ || আপডেট: ২০১৮-০৮-০২ ২৩:৪৩:৪৫

বীর কন্ঠ ডেস্ক  :

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ঢুকছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, কোমলমতি শিশুদের দিয়ে তারা এক ধরনের অপরাধ ঘটাতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী আবারও শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছি— ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাদের। তাদের নিজেদের মধ্যে যে কথোপকথন, তাও আমরা শুনেছি। শুনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা এই কোমলমতি শিশুদের দিয়ে এক ধরনের অপরাধ ঘটাতে পারে।’

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলন নিয়ে সুবিধাবাদী বা স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খাঁন।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন নিয়ে সুবিধাবাদী বা স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করতে পারে। এরই মধ্যে এই আন্দোলনের মধ্যে নাশকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। যদি কিছু ঘটে যায়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর দায় নিবে না। কারণ, তারা ধৈর্য সহকারে বসে আছে, কিছু বলছে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। তবে এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। পাশপাশি কোমলমতি এই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা ও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি আবারও তাদের বলছি— যথেষ্ট হয়েছে, বাসায় ফিরে যাও।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিবির ও ছাত্রদলের লোকেরা খাবার দিয়ে আন্দোলনে ছাত্রদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সহপাঠী হারানোয় তারা শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি জানাচ্ছে। কিন্তু, এগুলো একটা সময় ভিন্ন দিকে টার্ন নিতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এরই মধ্যে অনেকই আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ২০১৩ সালের ছবি পোস্ট করে বলছে, পুলিশ শিক্ষার্থীদের মারধর করছে। এর পেছনে অনেকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। গাড়ি চলছে না। ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ভয়ে মালিকেরা গাড়ি বের করছেন না। ফলে সাধারণ মানুষ কিন্তু চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। যেহেতু শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে, তাই এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত। তারা রাস্তায় নেমে যেটা করছে, এটা তাদের কাজ নয়। হয়তো আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তারা এটা করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *