admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-০৪ ০০:১৫:১১ || আপডেট: ২০১৮-০৮-০৪ ০০:১৫:১১
আব্বাস হোসাইন আফতাব, প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া:
রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারের একটি খাবার হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মী করে রাখা ১১ জন পথশিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-৭ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মী করে রাখা এসব অসহায় শিশুদের উদ্ধার করেন। এসময় দোকান মালিক মো. কামাল উদ্দিন (৩২) কে আটক করে র্যাব। অভিযান পরিচালনাকালে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ২ প্যাকেটে ৪’শ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। কামাল উদ্দিন রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের রোসাই পাড়া গ্রামের মৃত দিল মোহাম্মদের পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভবঘুরে ও টোকাই শ্রেণীর পথশিশুদের দালালের মাধ্যমে স্বল্প টাকায় কিনে নিয়ে দোকানে জিম্মী করে কাজ করাতো। এবং এসব শিশুদের খাবার ও পড়নের কাপড়চোপড় ঠিক মতো না দিয়ে বিনা টাকায় কাজ করানোর পর শারিরীক নির্যাতন চালাতো। একটু এদিক সেদিক হলেই এসব অভিভাবকহারা শিশুদের অমানবিক ভাবে মারধর করা হতো। কোনভাবেই এসব শিশু যাতে দোকানের বাইরে তার চোখের আড়াল হতে না পারে সে দিকে কড়া নজর রাখতো। জিম্মীদশা থেকে একশিশু পালিয়ে গিয়ে ঘটনা পরিচিত আরেক শিশুর অভিভাবককে জানালে আবদুর রহিম নামের ঢাকার টঙ্গী এলাকার এক অভিভাবক সেখানে থানায় সাধারন ডায়রি করেন। এরপর অভিযোগের কপি নিয়ে চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর শরণাপন্ন হলে তারা গতকাল অভিযান চালিয়ে এসব শিশুদের উদ্ধার করেন।
শান্তিরহাটের ব্যবসায়িরা জানান, রহস্যজনক দোকানদার কামাল উদ্দিন সারারাত দোকান খোলা রেখে সকাল আটটায় বন্ধ করতো। এরপর সন্ধ্যার পরে পুনরায় দোকান চালু করতো। তার দোকানে জিম্মী করে রাখা অপরিচিত এসব শিশুদের ব্যবহার করে এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করা হতো বলে স্থানীয়রা জানান।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি মিমতানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত দোকান মালিক কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে দালালের মাধ্যমে শিশুদের ২-৩ হাজার টাকায় কিনে নেন। এরপর তাদের দোকানে রেখে অমানবিক পরিশ্রম করাতো। এবং তাদের ঠিক মতো খাবার ও কোন টাকা পয়সা দিতোনা। উদ্ধারকৃত শিশুরা তাদের উপর কামাল উদ্দিন যৌন নির্যাতন চালাতো বলে র্যাবকে জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।