admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-০৫ ২০:৪৫:৫৫ || আপডেট: ২০১৮-০৮-০৫ ২০:৪৫:৫৫
আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ :
নিরাপত্তার নামে আহুত পরিবহন ধর্মঘটে বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন উধাও হয়ে যাওয়ায় পটিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বিশেষ করে পরিবহন ধর্মঘটে দক্ষিণ চট্টগ্রামে রোগী ও সাধারণ যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে ছোট-বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে না দেওয়ায় সরকারী-বেসরকারী চাকুরজীবীরাও কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেনি। এমনকি শ্রমিকরা অনেক সিএনজি অটো রিক্সা ও পেট্রোল রিক্সা চালকের উপর চড়াও হতে দেখা যায়।
জানা যায়, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কর্তৃক নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের কারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সারা দেশে আকস্মিক বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে গতকাল বহদ্দার হাট বাস টার্মিনাল ও কর্ণফুলী শাহ পাহাড়ীকন্যা বান্দরবান জেলায় যাতায়ত করেনি। ফলে বহদ্দার হাট, রাহাত্তারপুল কালামিয়া বাজার, নতুন ব্রীজ এলাকায় এবং মইজ্জ্যারটেক, কলেজ বাজার, আনোয়ারা, ক্রসিং, ভেল্পাপাড়া, শান্তির হাট, মনসা চৌমুহনী, বোর্ড অফিস, বাদামতল, শাহগদী মার্কেট, গৈড়লার টেক, আমজুর হাট, কাগজী পাড়া, ইন্দ্রপোল, সিও অফিস, মুন্সেফ বাজার, পটিয়া থানার মোড়, বাস ষ্টেশন, চক্রশালা, কমলমুন্সীর হাট, খরনা, মোজাফ্ফরাবাদ, রৌশন হাট, বাদামতল, গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট, দোহাজারী, সাতকানিয়া, কেরানী হাট, লোহাগাড়া, তেয়ারী হাট ও আধু নগরে শত শত যাত্রী সাধারণকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য এসেও কোন গাড়ী না পাওয়ায় দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। এতে কোন রিক্সা বা অটো রিক্সায় কেউ চড়তে চাইলেও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া হয়। এ সময় অনেকে পাঁয়ে হেটে কর্মস্থলের দিকে ছুটে। পটিয়ার বাসিন্দা বেসরকারী চাকুরে রোকনুজ্জামান সবুজ কর্ণফুলী ৩য় সেতু এলাকায় বলেন, বিগত ১২ বছরে এ ধরনের ধর্মঘট দেখিনি। কারণ অতীতে ধর্মঘটে ছোট-বড় যানবাহন চললেও এবার পাঁয়ে হাটাও যেন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। এ ধর্মঘেটর কারণে রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ সিএনজি টেক্সি ও চলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে বুঝিয়ে অনেক রোগীবাহী বাস গন্তব্যে পৌঁছে।
পশ্চিম পটিয়ার অধিবাসী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে কোন যানবাহন না থাকায় আমরা কয়েকজন মিলে রিক্সা ভ্যান ভাড়া করে বাড়ি ফিরছি। স্কুল শিক্ষিকা হাসিনা আকতার বলেন, কোন পরিবহন যেমন রিক্সা পর্যন্ত না থাকায় আমরা উত্তর বঙ্গের মানুষের বাহন ভ্যানে চড়ে স্কুলে যেমন গিয়েছি তেমনি এ ধরণের বাহনেই বাসায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছি। পশ্চিম পটিয়া এ.জে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যÿ জসীম উদ্দিন বলেন, এবারের ধর্মঘটে কোন যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, প্রতিবাদের অনেক ভাষা আছে। কিন্তু গাড়ী বন্ধের এ ভাষা আমাদের যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে ফেলে। তাই দূর্ভোগমুক্ত প্রতিবাদ এর পথ বেচে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। তিনি পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের জনসচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।