admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-০৫ ২১:০৩:১৫ || আপডেট: ২০১৮-০৮-০৫ ২১:০৩:১৫
লোহাগাড়া অফিস : সারাদেশের ন্যায় লোহাগাড়া উপজেলায় ও নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা অঘোষিত ধর্মঘটে যাত্রীদের চরমভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ৫ জুলাই এ ধর্মঘটের কারণে বাস না পেয়ে রিকশা, অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌছতে তাদের গুনতে হয়েছে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া। চাহিদার তুলনায় রিকশা ও অটোরিকশা কম হওয়ায় এসব পরিবহনও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হওয়ার কারণে বটতলী মোটর স্টেশনে ট্রাফিক চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মুজিবুল হক, ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব ও মোহাম্মদ শাহজালাল নেতৃত্বে একদল পুলিশ চেক পোস্ট বসান। ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর কাগজপত্র চেক করে, যে সব গাড়ীর কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিচ্ছেন। আর যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে তাদের গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। এ সময় চোখের সামনে দিয়ে মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা গুলো চলাচল করতে দেখলেও তাদের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে পরিবহন মালিকরা বলছেন, গাড়ি ভাংচুরের কারণে নিরাপত্তা না থাকায় চালকরা বাস চালাতে চাচ্ছেন না। গতকাল রোববার সরকারি অফিস খোলা থাকায় সকাল থেকে শত শত মানুষ রাস্তায় থাকলেও গণপরিবহন ছিল না। সকালে বটতলী মোটর ষ্টেশনে দেখা গেছে, বাহন বলতে শুধু রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা,নসিমন, ভ্যানগাড়ি। তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ভাড়া নেয়া হচ্ছে দু, তিন গুন বেশি। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এরপর বৃহস্পতিবার অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এর আগের রাতে দূরপাল্লার যানবাহন চললেও শনিবার রাত থেকে তাও বন্ধ করে দেয়া হয়।