admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-০৮ ০১:৫২:২৮ || আপডেট: ২০১৮-০৮-০৮ ০১:৫২:৫০
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় গত তিন-চার মাসে মদ্যপান করে এলাকায় মাতলামি সহ স্থানীয় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে অন্তত অর্ধশতাধীক মাদকসেবীর কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান অাদালত। জরিমানাও হয়েছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে যারা কারাদন্ড ভোগ করেছে তাদের সকলেই বাঙালী (মুসলিম ও সনাতন ধর্মালম্ভী) বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া তারা অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত মাদক সেবন করে অাসছে বলেও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়।
এসব মদ্যপানকারীদের কারাদন্ড প্রদান করায় এলাকায় অালোরণ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইতিমধ্যে অালোচিত হয়েছে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট রুহুল অামিন। উপজেলার অনেকেই কাপ্তাই ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের ফেইজবুক, টুইটারের ওয়ালে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মূলক স্টাটাসও দিতে দেখা গিয়েছে। এদিকে মাদক বিক্রেতারা প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে তাদের মাদক ব্যবসা পুরাদমে পরিচালনা করার পরেও তাদের অাইনের অাওতায় না এনে শুধু একচাটিয়া মাদকসেবীদের কারাদন্ড প্রদান করায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে শুনা যাচ্ছে।
এদিকে সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় কাপ্তাইয়ের লগগেইট এলাকায় মদ্যপান করে মাতলামি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে মো. নূরুল অালমের পুত্র সিএনজি চালক মো. দিদারুল ইসলামকে (৪০) ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯৯০ এর ১০(২) ধারা লংঘনের দায়ে ২২(ঘ) ধারায় ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
অভিযান শেষে শুধু মদ্যপানকারীদের কারাদন্ড ও জরিমানা করার পাশাপাশি কেন মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অামার কাছে মাদক বিক্রেতাদের কোন তথ্য নাই। তথ্যের অভাবে অামি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারছিনা। অামি ২৪ঘন্টাই প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ভ্রাম্যমান অাদালতের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই থানা এসঅাই হান্নান। আটক সিএনজি চালক দিদারুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে স্বীকার করেন বলেন, সে গত দেড় বছর যাবত মদ্যপান করে আসছিল। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার রাঙামাটি অাদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।