চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

সীমান্ত সুরক্ষায় খাগড়াছড়িতে নৌপথে ৪৩ বিজিবি’র টহল

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৩ ২০:৫৬:২৪ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৩ ২০:৫৬:২৪

শংকর চৌধুরী ,খাগড়াছড়ি :

খাগড়াছড়ির জালিয়াপাড়া হতে চট্টগ্রাম জেলার করেরহাট পর্যন্ত সর্বমোট ৪৫ কিলোমিটার আয়তনের দায়িত্বপূর্ন এলাকা নিয়ে গঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৪৩ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষায় এখন থেকে নৌটহল শুরু করবে।

এরই মধ্যে ব্যাটালিয়নের নিজস্ব তহবিল হতে দুই লক্ষাধিক টাকায় বান্দরবানের বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের থানচি বাজার হতে দুইটি নৌকা ক্রয় করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। থাইল্যান্ডের তৈরী মোটর ইঞ্জিন দ্বারা চালিত নৌকাগুলি অল্প পানিতেও চলতে পারে। এছাড়া নৌকাগুলি নালা/ছড়া দিয়ে চলাচল উপযোগী এবং ১২ মাসই শূন্য লাইনে টহল করা সম্ভব।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ‘বিশেষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা দুটি দিয়ে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ৪৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে টহল পরিচালনা করে সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব হবে। এতে সীমান্তে অপরাধ, চোরাচালান অনেকটায় বন্ধ করা যাবে।

ফেনী নদী দ্বারা বিভক্ত এই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা উচুঁ-নিচু পাহাড়, বন-জঙ্গল ও চা বাগান দ্বারা বেষ্টিত। সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখন্ড রক্ষা, চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধকল্পে বিজিবি সদস্যগণ সীমান্তের বিওপি (বর্ডার আউট পোষ্ট) সমূহে নিয়োজিত থেকে সদা সর্বদা অর্পিত দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে আসছে।

সীমান্ত অঞ্চলে বেশকিছু সড়কের মেরামত করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে এই দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল এবং নদী বেষ্টিত সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) সমূহে অপ্রতুল যোগাযোগ অবকাঠামো এবং বিওপি পর্যন্ত পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় সীমান্ত অপরাধ ও চোরাচালান দমনে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাছাড়া এ অঞ্চলে বর্ষাকালে সীমান্তে টহল পরিচালনা করা খুবই কষ্টসহিষ্ণু হয়ে পড়ে।

এসব সমস্যাকে মাথায় নিয়ে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, রামগড় জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ নুরুজ্জামান দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী পথে নৌকা যোগে টহল পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বিজিবি’র খাগড়াছড়ি সেক্টরে সীমান্ত সুরক্ষা নদীপথে টহল এটিই প্রথম সূচনা।

৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, অত্র জোনের এলাকায় নদীপথ সুরক্ষার পাশাপাশি সামগ্রিক সন্ত্রাস দমনে ৪৩ বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট এবং সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা বেঘবান করতেই নদীপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *