চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin

অপহৃত চার গ্রামবাসীকে উদ্ধার,খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ চলছে

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৪ ১৪:১৬:৩৬ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৪ ১৪:১৬:৩৬

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ির জেলা শহর থেকে অপহৃত চার গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ।  মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের হাইস্কুল মাঠ এলাকা থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন, জেলা সদরের জোরমরম ও শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা টোকাই ত্রিপুরা, সুকেন্দু ত্রিপুরা, সিন্দুরায় ত্রিপুরা ও মশা ত্রিপুরা।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। সন্ত্রাসীরা পরিস্থিতি টের পেয়ে আটকে রাখা চার ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদেরকে হাইস্কুল মাঠ এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে  আন্দোলনরতদের  হাতে তুলে দেয়া হয়। ’ 

এর আগে চার গ্রামবাসীকে অপহরণের অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে অবরোধ করছেন বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের পেরাছড়া, গিরিফুল ও শিব মন্দির এলাকায় সকাল থেকেই স্থানীয়রা সড়কে গাছ ফেলে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিত পড়ে এ সড়কে চলাচলকারী সরকারী চাকুরীজীবি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃত চার ব্যাক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে আন্দোলনরতদের হাতে তুলে দেয়। পরে আন্দোলন্রত জনতা উদ্ধার হওয়া চার ব্যক্তিকে নিয়ে স্বনির্ভর এলাকা থেকে  মিছিল করে গাছবান এলাকার দিকে অগ্রসর হন। পরে গ্রামবাসী তিন দফা দাব্ িবাস্তবায়নের দাবিতে পানছড়ি সড়কের গাছবান এলাকায় আবারো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলছে।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা জানান, তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গ্রামবাসী সড়ক অবরোধ করেছে।

উল্লেখ্য,সোমবার তিন দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় গিরিফুল ও গাছবান এলাকার  গ্রামবাসী। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয় , ৬ আগষ্ট  থেকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ভাইবোনছড়ার দেওয়ানপাড়ায় অবস্থান করে এলাকায় ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছে, গিরিফুল থেকে পানছড়ি পর্যন্ত সকল দোকানপাট (ভাইবোনছড়া বাজার ছাড়া) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রত্যেক দোকানদারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছে। 

এদিকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা অস্বাকীর করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ( জেএসএস-এমএন লারমা) এর কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা জানান, ‘ এই ঘটনার সাথে আমাদের পার্টি কোন ভাবেই জড়িত নই এবং বিষয়টি আমাদের জানা নেই। উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বিষয়টি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *