চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin

চন্দনাইশে জমে উঠেছে পশুর হাট: মহিষ ও বহিষের চাহিদা বেড়েছে

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৯ ২১:৫৭:৩৬ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৯ ২১:৫৭:৩৬

এস এম রাশেদ,চন্দনাইশ:

আর মাত্র ২ দিন পর বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার উপলক্ষে চন্দনাইশের বিভিন্ন হাটে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। এতদিন পশুর হাটগুলোতে বেচা-বিক্রি তেমন না থাকলেও গত ২/৩দিন ধরে প্রচুর বেচা-বিক্রি হচ্ছে। এবারে গরু, ছাগলের পাশাপাশি মহিষ ও বহিষের চাহিদা বেশী দেখা গেছে।

গত শনিবার দোহাজারী রেলষ্টেশন ও রবিবার দোহাজারী দেওয়ানহাট পশুর বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ হাট গুলোতে এ বছর মহিষ ও বহিষ প্রায় ৫ গুন বাজারে উঠেছে। চাহিদাও বেশী বলে জানালেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট এবার মহাসড়কের পাশে না বসায় মহাসড়কে যানজট অনেকাংশ কম গেছে। পশুর হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বসেছে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন।

রবিবার দেওয়ানহাট পশুর বাজারে গরু কিনতে আসা এনামুল হক জানান, এবারে গরুর দাম বিক্রেতা বেশি হাক্কাচেছন। আরো ২দিন বাকী রয়েছে সে বাজার গুলো দেখে কোরবানীর জন্য যেটা কপালে থাকে সেটা ক্রয় করবেন। আবার অনেক ক্রেতা বলেছেন ভিন্ন কথা, কোরবানি হচ্ছে আল্লাহুর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। বাজেট ও সাধ্যের মধ্যে পশু ক্রয় করে নিয়ে যাবেন। গত শনিবার দোহাজারী রেল ষ্টেশনে পশু কিনতে আসা আকতার হোসেন জানান, গত বছর সে একটি মহিষ নিয়েছিল কিন্তু সে মহিষ খুবই উশৃংখল হওয়ায় কোরবানি দিতে কষ্ট হয়েছিল। এবার তিনি সে ভয়ে মহিষের বদলে বহিষ ক্রয় করবেন। গাছবাড়ীয়া এলাকার মোরশেদ জানান, অন্যান্য বছর গরু দিয়ে কোরবানী করেছি, এবার মহিষ দিয়ে কোরবানী করবেন। তাই তিনি মহিষ কিনতে এসেছেন। মহিষ বিক্রেতা হাছান আলী বলেন, তিনি দু’টি মহিষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গত ১ বছর আগে ক্রয় করে লালন-পালন করেছেন এবার একটি মহিষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

হাশিমপুর এলাকার রহমত আলী বলেন, সে পাহাড়ী খামারে ৩০/৩৫টি মহিষ লালন পালন করেছেন কয়েক বছর ধরে। গতবার কোরবানী পশুরহাটে ভাল দাম পাওয়ায় এবার ৫০/৫২টি মহিষ লালন-পালন করে বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রি করছেন। সবমিলে চন্দনাইশের বাগিছাহাট, খানহাট, বরকল দামারহাট,গরিঙ্গাহাটসহ বিভিন্ন পশুরহাটে শেষ মুর্হুতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *