চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin

টংকাবতী রাবার ড্যাম ও শ্মশান রক্ষায় বিবিবিলা বালুমহালের ইজারা বাতিল দাবি

প্রকাশ: ২০১৮-০৮-২০ ২২:৩৪:৩২ || আপডেট: ২০১৮-০৮-২০ ২২:৩৫:৩৩

স্টাফ রিপোর্টার :

লোহাগাড়ায় টংকাবতী রাবার ড্যাম, হিন্দুদের শ্মশান, গ্রামের অসহায় লোকজনের বসতঘর রক্ষার্থে উপজেলার টংকাবতী খালের চরম্বা ইউনিয়নের বিবিবিলা বালুমহালের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী ও রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মহলে কয়েকবার আবেদন করেও কোন সুরহা হয়নি। এছাড়াও ইজারা বাতিলের আবেদন করায় কয়েক দফা গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আবুল কাশেম ওরফে বালু কাশেমের লোকজন।

এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ৩টি মামলাও রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ইস্যু নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ১৯ আগস্ট রবিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে বিবিবিলা গ্রামবাসী পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরম্বা ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসাইন, সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা আবদুস ছবুর ও মো. দিদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। লিখিত বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিবিবিলা বালু মহালের জন্য ইজারাকৃত জায়গার সীমারেখা অতিক্রম করে রাবার ড্যামের ১০০ মিটারের ভেতর ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় খালে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়ে পাশের টংকাবতী রাবার ড্যামে ফাটল দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে রাবার ড্যাম। এ ছাড়া খাল সংলগ্ন হিন্দুদের শ্মশান ও রসুলাবাদ গ্রামের শত শত বসতঘর খালের গর্ভে বিলীন হয়ে হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাবার ড্যামের অতি নিকটে খালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী গত ২১ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ মে লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন কচি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। কিন্তু অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু ও ড্রেজার মেশিন জব্দ না করায় এবং ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনো আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিবিবিলা বালু মহাল ইজারাদার আবুল কাশেম ওরফে বালু কাশেম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় চাঁদাবাজ ও বখাটেদের সাথে নিয়ে এখনও অবৈধভাবে টংকাবতী রাবার ড্যামের ১০০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে । তাই এলাকাবাসী টংকাবতী রাবার ড্যাম, হিন্দুদের শ্মশান ও বিবিলা-রসূলাবাদ গ্রামবাসীর বসতঘর রক্ষার্থে অবিলম্বে চরম্বা বিবিলা বালু মহালের ইজারা বাতিলের জোর দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *