প্রকাশ: ২০১৮-০৮-২৮ ১৫:৩৭:২৯ || আপডেট: ২০১৮-০৮-২৮ ১৫:৩৭:২৯
চট্টগ্রামে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ লক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে কোতোয়ালী থানার জামালখান সড়কের চিটাগাং বেলভিউ লিমিটেড নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী। এরপর নগরের কোতোয়ালী থানার জামালখান ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টার, অ্যাপেলো ইনফরমেশন সেন্টার ও সেনসিভ প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিবন্ধন ও অনুমোদন বিহীন এবং গ্রাহকসেবার মান নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দীক।
অভিযান কালে নিনবন্ধন সংক্রান্ত ক্রুটি থাকায় জামাল খানের ইউনিক হেলথ লিমিটেড নামের ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িকভাবে তালাবদ্ধ করার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় ইউনিক ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক পালিয়ে যান। এমনকি তার মুঠোফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বলেন ওই প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। আপাতত ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক এসে কাগজপত্র দেখাতে পারলে খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পাশের সেনসিভ প্রাইভেট লিমিটেডেও অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ কয়েকটি অনুমোদন থাকলেও বিএমডিসির অনুমোদন দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তারা দাবি করেন মালিকের কাছেই বিএমডিসির অনুমোদনের কপি রয়েছে।
মোরাদ আলী বলেন, সর্বশেষ তাদের প্রতিষ্ঠানে বিদেশ থেকে ডা. অরুনোভা রয়, ডা. নেহা চৌধুরী ও ডা. আভি কুমার রয় আসেন। কিন্তু তাদের অনুমোদন ছিল কিনা সেটি দেখাতে পারেননি। তাই ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে তাদের।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল্লাহিল আজম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।