চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

তারেক রহমানসহ ২১আগস্টের হামলাকারীদের ফাঁসির দাবী ড. হাছান মাহমুদের

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৩ ১৯:০৬:২৩ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৩ ১৯:০৬:২৩

 

২০০৪ সালের ২১অাগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ হামলাকারীদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ২১অাগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের নতুন ষড়যন্ত্র ও করণীয়’ শীর্ষক অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা সবসময় জানতেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর ঝুকি রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কোন সমাবেশ হলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভবনের উপর পাহারায় থাকতো কিন্তু সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের দলের কোন নেতাকর্মীকে ভবনের ছাদে উঠতে দেয়নি এবং গ্রেনেড হামলার পরপর আহতদের সাহায্যার্থে যখন আমাদের দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন এগিয়ে অাসে তাদেরও লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পানি দিয়ে রাস্তার উপর থাকা রক্ত ধুয়ে মুছে আলামত নষ্ট করা হয় এবং সেদিন যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল তাদের সাসপেন্ড তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। এমনকি এই গ্রেনেড সরকার ব্যতীত অন্য কারো কাছে থাকার কথা নয়। কারণ এই গ্রেনেড যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এমনকি যেই গ্রেনেড সেখানে বিস্ফারণ করা হয়েছিল সেই গ্রেনেড কারাগারের মধ্যেও পাওয়া গিয়েছিল। কারাগারের মধ্যে গ্রেনেড গেলো কিভাবে? সুতরাং আমি গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবী করছি এবং বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি এ দায় এড়াতে পারেন না তাই তাকেও বিচার ও শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা কোটা অান্দোলনকারীদের ঘাঁড়ে চড়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। এরপর বিএনপি ও ছাত্রদলের ২৫/৩০ বছরের যুবক ও মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে কোমলমতি বানিয়েও ব্যার্থ হয়েছে। সর্বশেষ সমাবেশটাও সফল করতে না পেরে তাদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই উনারা অাবোল তাবোল বকছেন। প্রকৃতপক্ষে উনাদের আসল উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, উনাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে আবারও একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা।

আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সন্নিকটে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে এবং যেভাবে প্রত্যেকটা মানুষের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে তা যদি জনগনের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি তাহলে যাদের বিবেক, বুদ্ধি আর জ্ঞান আছে তারা নৌকা ব্যতীত অন্য কোথাও ভোট দিবেনা।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু অাহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা অাবু কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান অালম সাজু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, জিন্নাত অালি খান জিন্নাহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *