চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারেই খালেদার বিচার

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৫ ১৩:২৮:০৫ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৫ ১৩:২৯:২৪

 

বীর কন্ঠ ডেস্ক :

দুর্নীতির এক মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করতে পুরাতন ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেছে আদালত।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কারাগারে বসে এই বিশেষ আদালত।

খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে কারাগারের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে আশপাশের দোকানপাটও। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি অন্য কোনো মামলায় আর হাজিরা দেননি। এমন পরিস্থিতিতে আদালতকেই কারাগারে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি জানান, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরে গতকাল সন্ধ্যায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে।

মামলার কাজ পরিচালনার জন্য নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের অফিসের একটি কক্ষ বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় যে আদালত দণ্ড দিয়েছে, সেখানে আরও একটি মামলা শেষ পর্যায়ে আছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। আর পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন নির্ধারণ করেন।

এই মামলায় এখন কেবল খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে। কিন্তু সাত মাসেও আর এই যুক্তি উপস্থাপন হয়নি। ফলে এই মামলার শুনানি কবে শেষ হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এর মধ্যে কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে খবর ছড়ায় এবং তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সরকার। বিএনপি নেত্রীকে একবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এনে পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়। এরপর আরেক দফা তাকে এখানে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তিনি বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেড ছাড়া অন্য কোথাও যাবেন না বলে জানিয়ে দেন।

বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও চারটি মামলা চলছে এবং তার অনুপস্থিতির জন্য সবগুলো মামলাতেই কার্যক্রম আটকে আছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *