চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় রিমা হত্যাকান্ড : পরিবারের পক্ষ থেকে মাসুদকে অভিযুক্ত করে মামলা

প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৯ ২১:৩৩:২৩ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৯ ২১:৩৩:২৩

 

আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ :

পটিয়ায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আকতার হত্যাকান্ডে তার পাশেই গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা মাসুদকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার রাতে ১১ টায় এ মামলা দায়ের করেন রিমার বাবা মঞ্জুরুল আলম। গতকাল ময়না তদন্ত শেষে বিকেল পৌনে ৪ টা নাগাদ রিমার গ্রামের বাড়ি হাইদগাঁও মাহ্দাম পাড়ায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। এতে গতকাল বিকেলে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রিমার বড় বোন রেশমী আকতার আবেগ আপ্লুত অবস্থায় বলেন, আমার বোন প্রতিদিন স্কুলে যেত। গত শনিবারও একই ভাবে সে স্কুলেই গিয়েছিল। কিন্তু এভাবে যে সে জীবন্ত লাশ হয়ে ফিরবে তা আমরা কখনো কল্পনাই করিনি। আমাদের ধারণা আমার বোনকে ফুসলিয়ে এ মাসুদই খুন করেছে। আমরা তার বিচার চাই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল আওয়াল জানান, মাসুদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে ওই ছাত্রীকে মাসুদ ছুরি দিয়ে হত্যা করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা আশাবাদী সে সুস্থ হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেই এ ঘঠনার প্রকৃত রহস্য ও মোটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

এদিকে এ ঘটনায় পটিয়ার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, এ বিদ্যালয়টি গ্রামে হওয়ায় প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন বখাটের উৎপাত পুরো পরিবেশকে বিষিয়ে তুলে। কিন্তু এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা আইনানুগ কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় আজকের এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্টু বিচার এবং ভবিষ্যতে যাতে এ এলাকায় এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য প্রশাসন সহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, বখাটেদের উৎপাতের বিষয়টি সবাই অবগত। স্কুল কমিটি এবং এলাকার চেয়ারম্যানও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিহত রিমার পিতা মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমার মেয়ে খুবই সহজ সরল। সে প্রতিদিন স্কুলে যায়। আমার মনে হয় এ বখাটে ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে ঘটনাস্থলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিতেন কান্তি গুহ বলেন, হাইদগাঁও স্কুলে এ ধরণের ঘটনা অতীতে কখনো ঘটেনি। বর্তমানে যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তার সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে আমরা দোষীর সর্বোচ্চ বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *