Faruque Khan Executive Editor
প্রকাশ: ২০১৮-০৯-০৯ ১২:৪১:২৮ || আপডেট: ২০১৮-০৯-০৯ ১২:৪২:২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বীরকন্ঠ:
রাখাইনে সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে খবর প্রকাশ করায় বার্মায় দণ্ডিত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের স্ত্রীরা দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে নিয়ে প্রকাশ্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। নিজেদের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা সু চিকে দায়ী করেন।
প্রতিবেদক ওয়া লোনের স্ত্রী প্যান ই মোন বলেন, যখন আমি ইংরেজি বুঝতাম না, তখন অং সান সু চি বক্তব্য দিতেন। আমি সবসময় তাদের বক্তব্য শুনতাম। কারণ আমি জানতাম, দেশের নেত্রী কথা বলছেন।
ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি তাকে ভালোবাসতাম। তাকে খুবই সম্মান করতাম। কিন্তু তিনি বলেছেন, আমার স্বামী প্রতিবেদক না। কারণ তারা দেশের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। তার জবাবে আমি বিপর্যস্ত বোধ করছি।
জাপানিজ সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রতিবেদককে আটক করা হয়েছে।
ওয়া লোনের স্ত্রী বলেন, দুই মাস আগে জন্ম নেয়া আমাদের কন্যা তার বাবার আদর পাচ্ছে না। যখন আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়, তখন আমি ভেবেছিলাম, সন্তান প্রসবের আগেই তিনি ছাড়া পাবেন। কিন্তু আমার সন্তান ভুমিষ্ঠ হলেও স্বামী মুক্তি পায়নি। আমার জোরালো বিশ্বাস ছিল, আমার কন্যা তার কারামুক্ত বাবাকে দ্রুতই দেখতে পাবে। কিন্তু কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণার পর আমার সব আশা ধুলোয় মিশে গেছে।
বলাবাহুল্য, আরাকানে সেনা অভিযানের সময় ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ও (২৮)। এটাকে অপরাধ হিসেবে নিয়ে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
এ দুই সাংবাদিকের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ইয়াঙ্গুনে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ওয়া লোন ও কিয়াও সো নির্দোষ, তাদের মুক্তি দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ দেয়া হোক।