চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নূর হোসেন মামুন , কাপ্তাই প্রতিনিধি :

কেপিএমে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধির দাবিতে ৩’শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৭ ২৩:৫২:৫১ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৭ ২৩:৫২:৫১

নূর হোসেন মামুন, কাপ্তাই : কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ-কল কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম) এ ডিসেম্বর (২০১৮) থেকে এই যাবত পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ভাতা। উল্টো মিল্সটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এম.এম.এ কাদের কর্তৃক পাওনা টাকা চাওয়ায় শ্রমিক কর্মচারীদের লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭’টায় কেপিএমের সিবিএ ও নন-সিবিএ এর যৌথ আয়োজনে ৩’শতাধিক ক্ষুব্ধ শ্রমিক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিলসটির উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রায় ৩’মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও পাওনা টাকা চাওয়ায় এমডি কর্তৃক শ্রমিক কর্মচারীদের লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে সিবিএ অফিস প্রাঙ্গন থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে তা প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। এসময় কেপিএমে শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) সভাপতি মো. আব্দুল রাজ্জাক, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, কেপিএম এমপ্লোয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আইয়ব খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, কেপিএম ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি মৌলভী মো. ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান, সিবিএ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, কেপিএমে র্কমরত শ্রমিক কর্মচার দের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। বেতন ভাতা চাওয়ায় শ্রমিক র্কমচারীদের সাথে মারমুখী আচরণ ও তাদের লাঞ্চিত করার কারণে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান ক্ষুব্ধ এসব শ্রমিক র্কমচারীরা। পাশাপাশি কেপিএমের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পাল্প মিল্স ও ২নাম্বার মিশিনের ব্যাবহার করার উপরও অনুরোধ জানান নেতারা।

এছাড়াও দ্রুত গত ২ মাস ১৫ দিনের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ, মিল্স এর পূর্বের ন্যায় উৎপাদন ফিরিয়ে আনা সহ শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাদের এমডি কর্তৃক লাঞ্চিত করায় রবিবার হতে কঠোর আন্দলনের হুসিয়ারী দেন নেতারা। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ই জানুয়ারী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শ্রমিক-র্কমচারীদের নতুন মজুরী কমিশনে বেতন বাস্তবায়ন করা হলেও এমডি তার স্বীয় ইচ্ছায় তা পরিশোধ করতে না চাওয়ায় তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে ৩’শতাধিক শ্রমিক কর্মচারীরা। পরে তাদের তোপের মুখে পরে সকলকে ৭৫% হারে বেতন প্রদানের আশ্বাস দিলেও তাকে মুক্ত করে দেয় ক্ষুব্ধ শ্রমিক র্কমচারীরা। কিন্তু দিন শেষে সে তার উক্ত প্রতিশ্রুতি না রেখে শুধু মাত্র অফিসারদেরই উক্ত ৭৫% বেতন প্রদান করে। এ নিয়ে শ্রমিক র্কমচারীরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *