চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রোহিঙ্গা যুবক নিজের কুঁড়েঘর আগুনে পুড়াল

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৩ ২০:৫৮:২৩ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৩ ২০:৫৮:২৩

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম সোনাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে চাই হয়ে গেছে একটি পলিথিনের তৈরি কুঁড়েঘর। এ সময় কুঁড়েঘরটিতে থাকা হাঁড়িপাতিল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বলে জানান বাড়ির মালিক ইমাম হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রতিবেশী খালেদা বেগম, রুকিয়া বেগম ও জোবাইর আহাম্মদসহ অনেকে বলেন রোহিঙ্গা এ যুবকের কান্ড হচ্ছে পাওনা টাকা যেন দিতে না হয় এই জন্য পাওনাদারদের কৌশলে ফাঁসাতে নিজের কুঁড়েঘরে নিজে আগুন দিয়ে পুড়াল বার্মাইয়া ইমাম হোসেন। তিনি সম্প্রতি এধরনের আরো একটি ঘটনা করেছে। সেটা হল নিজের স্ত্রীকে নিজে মেরে অপর একটিপক্ষের জন্য থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু বিষয়টি পরে এলাকায় প্রমাণ হয় তিনি নিজে এ ঘটনা ঘটান। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হোসেনের স্ত্রী সাইরা খাতুন এ প্রতিবেদককে জানান ২৭ ফেব্রুয়ারী আমি ও আমার স্বামী সন্তানদের নিয়ে রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়েছিলাম। রাত সাড়ে ১২টার সময় হঠাৎ দেখতে পাই আমার বাড়ির উত্তর পাশের চালে আগুন জ্বলছে। আমরা দেখার সাথে সাথে বাড়ি থেকে দ্রুত স্বামী সন্তানসহ বের হতে না হতে পলিথিনে মুড়ানো কুঁড়েঘরটি পুড়ে চাই হয়ে যায়। তবে তিনি কিসের আগুন এবং আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানেনা। তাদের ধারণা প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা করতে পারে তাদের দাবী।

অপরদিকে ঐ এলাকার মসজিদের ইমাম মওলানা আলমগীর, স্থানীয় সমাজ নেতা জলাল আহাম্মদ ও এলাকাবাসীর মতে ইমাম হোসেন এক জন ভয়ংকর ব্যক্তি এক বছর ধরে সে জারুলিয়াছড়ি ১ নং ওয়ার্ডে পাহাড়ের নিচে ছোট এ কুঁড়েঘরে বসবাস করে আসছিল। তারা আরো জানান সে মিয়ানমার থেকে আসার পর হইতে এলাকায় অনেক অপকর্ম করে আসছিলো। এই সিজনে ফুলঝাড়ু দেওয়ার নাম করে রামুর কাউয়ার খোপের মনিরঝিল গ্রামের ইসলাম সওদগর, নাইক্ষ্যংছড়ির মাষ্টার ফখরুদ্দীন, ছোট্টু মেম্বার ও এলাকার ছরুত আলমসহ অনেকের কাছ থেকে অনুমানিক ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋন ও অগ্রিম টাকা নিয়েছিলো। ঐ টাকা যেন দিতে না হয় তার জন্য নিজের ঘর নিজে আগুনে পুড়াল। কারণ এই ঘরের ভিতরে থাকা কয়েক হাজার টাকার ফুলঝাড়ু কি ভাবে রক্ষা পেল এলাকাবাসীর প্রশ্ন?। এখন বার্মাইয়া এই ইমাম হোসেন কৌশল করেছে যে টাকা খুঁজবে তাকে বলবে বাড়িরতো সব কিছু পুড়ে গেছে টাকা পাব কই। যদি টাকার জন্য বেশি যে চাপ দিবে সে তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছে। তাই এ প্রতারক থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এলাকবাসী তার মিথ্যা ও অপর্কমের বিষয়ে সজাগ থাকতে প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানান। তারা আরো জানান উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে এই ইমাম হোসেনের নাম রয়েছে সেখানে রেশন কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে রেশন ও পায় তিনি। মিয়ানমার থেকে আগে আসায় রোহিঙ্গা এ যুবক কাউয়ার খোপের এক বাংলাদেশী মেযেকে বিয়ে করার কারণে ইমাম হোসেন এই এলাকায় বাড়ী করে বসবাস করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *