চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাঙ্গুনিয়ায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম ও শ্রমিকদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৩ ০০:১৩:৪৪ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৩ ০০:১৩:৪৪

আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম:  চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে অনিয়ম ও জালিয়াতি। কাজ শেষ করার পর শ্রমিকদের কাছে টাকা দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। অপরদিকে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে একাধিক শ্রমিককে অর্ধেক টাকা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা স্কেবেটর, ড্রেজার, ও চুক্তিভিক্তিক শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের নামমাত্র বাস্তবায়ন দেখিয়ে পুরো বিল উত্তোলন করায় ফাঁকিতে পড়েছেন সুবিধাবঞ্চিত অতিদরিদ্র শ্রমিকরা। এদিকে উপজেলা রাজা নগর ইউনিয়নে একটি সড়কে মাটি ভরাটের কাজ শেষে শ্রমিকদের কাছে দাবি করা হয়েছে টাকা। খোদ প্রকল্পের সভাপতি টাকা দাবির বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা রাজা নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতি আবদুল সালাম সিকদার অভিযোগ করে বলেন, “ এই ওয়ার্ডের আশরাফ আলী সড়কে ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পে শ্রমিকরা সব কাজ শেষ করেছেন। কিন্তু তাঁরা টাকা পেয়েছেন অর্ধেক।

পিআইও শ্রমিকদের কাছে টাকা দাবির পাশাপাশি আমাকেও চাপ দিচ্ছেন তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেয়ার জন্য। এই ব্যাপারে শ্রমিকরা ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দেবেন। তিনি আরো জানান, “ ৪০ দিনের এই প্রকল্পে ৫১ জন শ্রমিক ৭ হাজার টাকা করে পাওয়া কথা । কিন্তু তাঁরা পেয়েছেন তাঁর অর্ধেক টাকা। ” জানা গেছে, সরকার অতিদরিদ্র অদক্ষ শ্রমিকদের চল্লিশ দিনের দুই বেলা খাবার নিশ্চিত করতে ‘দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায়’ এ প্রকল্প চালু করে। কিন্তু প্রকল্প সংশিষ্টদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির কারণে সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র অদক্ষ শ্রমিকরা ফাঁকিতে পড়ার পাশাপাশি ভেস্তে যাবে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। স্থানীয়রা বলেন, অতিদরিদ্র অদক্ষ শ্রমিকদের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প কর্মকর্তা ও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানরা লুটপাট করায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রকল্পের শ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মহলে। তারা অতিদ্রæত দরিদ্রের জন্য আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্পের হরিলুটের বিষয়টি তদন্তের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহায়তা কামনা করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল জব্বার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখেন কত ভাল কাজ হয়েছে।” জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “ প্রকল্পের সব কাজই মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখা হচ্ছে। কাজগুলো ঠিকমতো কিংবা টেকসই হচ্ছেনা। প্রকল্পের কাজে কোনো অনিয়ম দেখা গেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *