মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-০৬ ২০:৪৫:৪৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-০৬ ২০:৪৫:৪৭
মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ ৬ মার্চ ২০১৯ ইং নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়ায় দিন দুপুরে অগ্নিকান্ডে এক কৃষকের বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ৮ টায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমুনিয়া এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে শফিউল বশরের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে কৃষক শফিউলের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জামাল আহম্মদ ও আবু শাহমা জানান, বুধবার সকাল ৮ টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় বসতঘরটির ভিতরে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিন বৃষ্টিপাতের কারণে চারপাশের লোকজন তৎখানিক আগুন দেখেনি। পরে এসে অনেক চেষ্টা করেও কিছু রক্ষা করতে পারেনি। এতে একটি গরু পুড়ে আহত হয়েছে এবং ৭০ আড়ি ধান, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার,চাউল,আলু,মরিচ, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এ সংবাদ লেখা কাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শফিউল বশর জানান স্ত্রী সাজেদা বেগম সাজু সন্তানদের নিয়ে তার বাপের বাড়িতে ছিল। আর আমি ছিলাম একা ঘরে। সকালে অতি বৃষ্টি হওয়াতে আমি নিজ ক্ষেতে বৃষ্টির পানি ছেড়ে দিতে গেলে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আবদুল করিম জানান, আশপাশে আর কোন বাড়ি ছিলনা বিদুৎবিহীন বাড়িটির উপরে টিন ও চারপার্শ্বে মাটির দেওয়াল এমত অবস্থায় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল এসময় বসত ঘরটির বেতরে আগুনে পুড়ে গেছে রক্ষিত নগদ টাকা,স্বর্ণ,ফার্ণিচার, ধান,চালসহ সব মালামাল। বৃষ্টিপাত ও বাড়িতে কেউ না থাকায় কোন মালামাল রক্ষা করা যায়নি।তবে কিসের আগুন এবং কেমনে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হল কেউ বলতে পারছেনা। খবর পেয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জামাল আহাম্মদ ও এলাকাবাসী। জাহাঙ্গীর আলমসহ এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান এ পর্যন্ত কোন প্রশাসন, নেতারা অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেননি। তবে তৎখানিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে গ্রামের লোকজন শুকনো খাবার ও পুরাতন কিছু কাপড় প্রদান করেন।