রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে না পৌঁছলে অভিভাবকদের মুঠোফোনে পৌঁছবে ক্ষুদেবার্তা। বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার মুহূর্তে খুদেবার্তার মাধ্যমে সন্তানের অবস্থান জেনে যাবে অভিভাবকরা। ফলে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কিছুটা কমবে। ডিজিটাল এ হাজিরা পদ্ধতিতে শ্রেণি কার্যক্রমের সময়, মাসিক ও গড় হাজিরা বের করা যাবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির যন্ত্র সংযোজন ও উদ্বোধন করা হয়। বায়োমেট্রিক যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যালয়ের ১৮ শ শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে দেয়া হয় স্মার্ট কার্ড। বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালনা পরিষদ সভাপতি নিজাম বাদশা। প্রধান অতিথি ছিলেন সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম সরফি। বক্তব্য দেন চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, শিক্ষক আবদুর রউফ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কান্তি ধর বলেন, যুগ যুগ ধরে চলে আসা স্কুল হাজিরা পদ্ধতির পরিবর্তন আসছে। ডিজিটালাইজ হচ্ছে বিদ্যালয়ে হাজিরা নেওয়ার পদ্ধতি। এখন খাতা-কলমের পরিবর্তে উপস্থিতি গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। বিদ্যালয়ের প্রবেশ ও বের হওয়ার মুহূর্তে খুদেবার্তার মাধ্যমে সন্তানের অবস্থান জেনে যাবে অভিভাবকরা।
ফলে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কিছুটা কমবে। এ হাজিরা পদ্ধতি ব্যবহারে শ্রেণি শিক্ষকদের কাজ কমে যাবে। হাজিরা ডাকতে হবে না, ফলে শ্রেণিতে প্রথম পিরিয়ডে পাঠ কার্যক্রমের সময় বেড়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা আরও বেশি উপকৃত হবে। এতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়বে। ৯ ম শেণির শিক্ষার্থী শারমিন আকতার বলেন, এ পদ্ধতিতে হাজিরায় প্রথম ঘন্টার ক্লাস বেশি পাব। তাছাড়া বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার ম্যাসেজ বাড়িতে বসে আমার মা -বাবারা পাবেন। তাঁদের দুশ্চিন্তাও কমবে।