চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পারকি সৈকতের সৌন্দর্যহানি

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১১ ০০:১৯:২৯ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১১ ০০:১৯:২৯

জাহেদুল হক,আনোয়ারা : অব্যবস্থাপনায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে আনোয়ারার পারকি সমুদ্রসৈকত। যতদূর চোখ যাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি চোখে পড়বে সৈকতে উচ্ছিষ্ট আবর্জনার স্তুপগুলো। এ কারণে দিন দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই সৈকত। ধব-ধবে সাদা বালি দ্বীপে দৃশ্যমান এসব আবর্জনার স্তুপ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।
প্রকৃতির নিবিড় এই সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের প্রত্যাশা একটি পরিচ্ছন্ন সমুদ্রসৈকত। দেখভালোর দায়িত্বে থাকা লোকজনের উদাসীনতায় এ প্রত্যাশার জায়গাটি দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে আসছে। আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত সৈকতটি পরিস্কার রাখার ব্যাপারে কারও নজর নেই। যে কারণে বিরক্ত হয়ে অনেক পর্যটক সৈকত থেকে ফিরে যাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়,সৈকতের প্রধান পয়েন্ট থেকে লুসাই পার্ক পর্যন্ত আবর্জনার স্তুপে ভরপুর। ডাবের ছোবড়া,খড়ের গাদা,জুস ও চিপসের খালি প্যাকেটসহ নানা ধরনের আবর্জনা জমে আছে। এসব বর্জ্যরে উটকো গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এভাবে সৈকতের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। এসব ময়লা ডিঙিয়ে পর্যটকরা সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সৈকতের ভাসমান ব্যবসায়ীরা জানায়,ব্যবসায়ী সমিতিকে প্রতিদিনের জন্য ১০০ টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। সৈকতে দুই শতাধিক ভাসমান দোকান রয়েছে। সে হিসেবে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়। তবে ওই সমিতি নিয়মিত সৈকত যে পরিস্কার করছে না তা আবর্জনার স্তুপ দেখে সহজেই অনুমেয়। চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করে পারকি সৈকত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জামাল হোসেন বলেন,তিনজন শ্রমিক দিয়ে প্রতিমাসে সৈকত পরিস্কার করি। এতে ওইসব টাকা ব্যয় করা হয়। পর্যটক মুনতাসির মামুন বলেন,সৈকতে ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ,এটা খুবই দুঃখজনক। এসব ময়লা-আবর্জনা সৈকতের সৌন্দর্যহানি করছে। এরূপ অবস্থা চলতে থাকলে বিদেশি পর্যটকরা উৎসাহ হারাবে।
চট্টগ্রাম সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ বলেন,সৈকতটি নিয়মিত পরিস্কার রাখতে কমপক্ষে পাঁচজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার। ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ না থাকায় এসব কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় আমি একাধিকবার তুলে ধরেছি। আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী জানান,সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *