মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১১ ২৩:৩৭:২৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১১ ২৩:৩৭:২৭
মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরহুম জসিম উদ্দীনেরর স্ত্রী শামীমা আক্তার গুন্নুর বেদনাময় অাকুতি”মৃত স্বামীর জীবদ্দশায় সর্বসাধারণের সেবা করার তার অধম্য অনুপ্রেরণা ও পেরাশানী দেখে আমি অনুপ্রানীত হয়েছি। মরহুম জসিম উদ্দীন দু,বার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল অনেক যা স্ত্রী হিসাবে আমি তার স্বপ্ন পুরনে পাহাড়ী-বাঙ্গালী আমজনতার কাছে ঐ সময় আমার স্বামীর পাওয়া পছন্দের প্রতীক “প্রজাপতি” নিয়ে আমি উপজেলায় নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে লড়ে যাচ্ছি। সে যে ভাবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আপামোর জনসাধারণের সাথে মিলেমিশে রাজনীতি ও ক্রীড়া অঙ্গঁনের মিশে গিয়ে ছিল। আমিও তার উত্তসূরি হয়ে অত্র উপজেলার আপামর জনসাধারনের সু-পরার্মশ অভাবনীয় ভালবাসা পেয়ে তার রেখে যাওয়া ছোট ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে আমি এই পর্যন্ত আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়ায় ভাল অবস্থানে আছি। আমি কি মৃত স্বামীর লালিত স্বপ্ন পুরনে ও আপনাদের আপনজন হিসেবে একটিবার ভালোবাসা ও সহানুভুতি পেতে পারি না? কারন বর্তমান সময়ের তাগিদে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন হয়। অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্বে কথা বলা বা রুখে দাঁড়ানোর জন্য নেতা-নেত্রী নির্বাচন করতে হয়। নেতা-নেত্রী বানানোর সেই সুযোগ পাঁচ বছর পর একবার আসে সম্মানিত হাতে।
সেই সুযোগ কি অপাত্রে দান করবেন? নাকি আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে সঠিক যোগ্যতম নেতা নির্বাচন করবেন সেই বিচারের ভার আপনাদের। আমি কিন্তু রাজনীতিতে সরাসরি যোগ না দিলেও সংসার জীবনে আমার প্রিয় স্বামী মরহুম জসিম উদ্দীনের অর্ধাঙ্গীনি হয়ে তাকে সবসময় উৎসাহের মধ্যদিয়ে সকল সহযোগিতা করে আসছিলাম।
আমার স্বামী মরহুম জসিম উদ্দীন রাজনীতি করতে গিয়ে কোন দিন ক্ষমতা ভোগ করেনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। সাধারণ মানুষের পাশে থাকছিলে। রাজনৈতিক পদ পদবী নিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। রাজনীতি ও ক্রীড়া জগত থেকে সমাজের অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে গিয়েসহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। আমি কোন দিন আমার প্রিয় স্বামীকে ধন সম্পদ বা টাকার কাছে নিজেকে সঁপে দিতে দেয়নি। অবৈধ উপার্জনে হতে দেয়নি কোটিপতি। আশেপাশে বাতাসে ভেসে আসা কালো টাকার দিকে হাত বাড়াততে দেইনি । অল্পতে সংসারের সুখ খুজেছি। বেলা অবেলায় খেয়ে সংসার চালিয়েছি। এতে হয়তো সাময়িক কষ্ট হয়েছে। এখনো কষ্ট করে ৪টি সন্তানকে বুকে আখঁড়ে ধরে কোন মতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এমন কাজ করিনি আমার সন্তানদের মুখ লোকিয়ে রাখতে হয়েছে।
অল্প খেয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি তবে মরেতো যায় নি। এরপরও লোভ সং বরণ করেছি। দূঃসময়ে জসিমের রেখে যাওয়া ৪টি আদরের সম্পদ ছাড়িনি। সুসময়ে এসি রুমে বদ্ধ থাকিনি। উপজেলা পরিষদের নারীভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ে যাচ্ছি। হয়তো প্রচার প্রচারনায় সংগত কারনে অন্যদের মত হইহুল্লোড় করা সম্ভব নয়। তবে যোগ্যতার বিচারের অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই। সেই বিচারের ভার আপনাদের উপর।
যদি বর্তমান সময়ে আমি যোগ্যতম মনে হয় তাহলে আপনাদের ভোট আমার হক। আমি সেই আমানত কোনদিনই নষ্ট হতে দেবো না। তাহলে আমি আপনাদের কাছে কি ভালোবাসার প্রতীক, সংসার বন্ধনের প্রতীক, নারী পুরুষের ঐক্যের প্রতীক, পবিত্রতার একমাত্র প্রতীক “প্রজাপতি ” তাই আমার স্বামী রেখে যাওয়া ৪টি সন্তানের দিকে তাকিয়ে প্রজাপতি ‘ মার্কায় একটি একটি ভোট পেতে পারিনা? আমি আশাবাদী ইনশাল্লাহ আপনারা আমাকে আমার মরহুম স্বামীর দিকে থাকিয়ে আমাকে আপনাদের আমানতের দায়িত্ব ভার দেয়ার জন্য আমাকে জয়যুক্ত করবেন।