চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে ৩’শ বছরের পুরনো কবরাস্থান রক্ষায় বিক্ষোভ!

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১২ ২২:৩৩:১৯ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১২ ২২:৩৩:১৯

প্রদীপ শীল, রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানের এয়াছিন্নগরের ৩’শ বছরের পুরনো কবরাস্থান রক্ষায় বিক্ষোভ করেছে স্থানিয় বাসিন্দারা। ১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কয়েকশ নারী তাদের বাপ-দাদার পুরনো ৭ খানীর বিশাল কবরাস্থানটি রক্ষায় হাত তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পুর্ব এয়াছিন্নগর মাইজপাড়ার প্রায় ৩০০ বছর পুরনো কবরাস্থানটি রক্ষায় কয়েকশ নারী পুরুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন। তারা জানান. একই এলাকার হাজী শফি নামের ব্যাক্তির লোকজন জোর পূর্বক কবরাস্থানে চারা রোপনের চেষ্টা করলে আমরা এর প্রতিবাদ করি। কবরাস্থানের পক্ষের কমিটির সভাপতি বৃদ্ধ শামসুল আলম, ফজল কাদের বাবুল,মুহাম্মদ রফিক,আব্দুর রাজ্জাক,বৃদ্ধ শামসুল আলম বাঁশি,আয়ুব আলী জানান, রেকর্ডেট কবরাস্থান থাকা সত্বে ও গত রোববার চারা রোপনের গর্ত খুঁড়তে পাঠান কয়েকজন দিন মজুর শ্রমিককে মরহুম নুর আহম্মদের ছেলে হাজী শফি। ঐদিন বিকালের দিকে তাদের কাজে বাঁধা দেন কবরাস্থানের ওয়ারিশ ও পবিত্রতা রক্ষায় নিয়োজিত কমিটির কয়েকজন। কিছুক্ষন পর হাজী শফির ছেলে জাবেদ,হাছান সহ ৫/৬ জন এসে কেন বাঁধা দিলেন জানতে চান। এতে উভয় পক্ষের মৃদু বাক বিতান্ডা হয়।

এর পরের দিন সোমবার রাতে হাজী শফির পক্ষের ৩০/৪০ জন লোকজন রাত দেড়টার দিকে কবরাস্থানের পশ্চিম পাশের গেইটটি ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা জানান আমরা হাজী শফির মানুষেরা এরকম কিছু একটা করবে রাতে জানতে পেরে পাহাড়া বসিয়েছিলাম কবরাস্থানের চুুর্পাশে। তারা গেইট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে আমরা সবাই মিলে তাদের ধাওয়া করে নিয়ে যাই। তখন তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফজল কাদের বাবুল বলেন তারা হুমকি দিচ্ছে আমাদেরকে ডাকাতি,চুরি সহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসাবে আর হাটে বাজারে ফেলে মারবে। আমরা প্রায় ১৫০ পরিবার প্রভাবশালী হাজী শফি ও তার ভাই নন্না মিয়ার হুমকিতে আছি।

জানা গেছে, জোর পূর্বক ২৮০ শতকের বিশাল কবরাস্থানটি শত-শত নারী পুরুষের কবর রয়েছে। কালের পরিক্রমায় অনেক কবরের চিহ্নও নেই। এরপরও গরিব হিসাবে পরিচিত ১৫০ পরিবারের বাপ দাদার কবরাস্থানের জায়গায় জোড় পূর্বক চারা লাগানোর চেষ্টা সম্পুর্ণ অযুক্তিক। এদিকে স্থানিয়রা প্রশ্ন রেখে বলেন গত এক বছর পূর্বে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে বিশাল কবরাস্থানটিতে দুটি গেইট আর তাড়ের বেড়া দিয়ে ঘেরা করা হল তখন হাজী শফি কই গেল? ঘেরার মধ্যে চারা রোপন করে কবরাস্থানের জায়গা দখল করতে চায় তাদের পরিবার।

সূত্র জানায়, হাজী শফির দাবি তার বাপ-দাদারা গরু ছাগল ছড়াতে এ ঠিলা দিয়েছিল। শফির দাবী আমার ভোগ দখলকৃত জায়গার পুরনো বেড়া ঘেরার পিলার ভেঙ্গে কবরস্থানের নাম দিয়ে আমার জায়গা দখল করে ফেলেছে। এদিকে কবরস্থানের পক্ষের লোকজন এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোনে জানানো হয়েছে বলে জানান ফজল কাদের বাবুল। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ক্ষোভ চলছে কবরাস্থানের পক্ষের লোকদের। যেকোন সময় উভয়ের মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে। সূত্র বলছেন প্রশাসনিক ভাবে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা না নিলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *