প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১৬ ২২:৫৬:৩৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১৬ ২২:৫৬:৩৭
প্রদীপ শীল, রাউজান: ‘এসো স্মৃতির প্রাঙ্গনে, মিলি প্রীতির বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাউজান ছালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সিলেট মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন রেজা, রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ,।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উদযান পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা আবু হোসাইন টিপু, প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বনিক, প্রাক্তন শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দে, দুলাল চন্দ্র তালুতদার, শিক্ষক অরুন বিজয় দাশ, প্রাক্তন ছাত্র দিপু কান্তি দে, অশোক পালিত, সুমন কান্দি দাশ গুপ্ত, সুভাষ চন্দ্র নাথ, আক্তার হোসেন, এ.িজি সরোয়ার, সাইদুৃর রহমান টিপু, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাইফুদ্দিন টুটুল, হাসান সোহরাব উদ্দিন, সাগের হোসেন, আবদুল আউয়াল রাজীব, সজিব চৌধুরী, আজম খান, আশরাফুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, লুৎফরনেছা মুনমুন, শাহা আলম, রুবেল দাশ গুপ্ত, মাহাবুবুল আলম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, বাসু দাশ গুপ্ত, দিপলু দে দিপু, সাইফুদ্দিন মিঠু, বরকত উল্লাহ পামির, মহিবুল আলম, কে,এন এম কাইয়ুম খান,সোহেব বিন ছেফায়েত, রতন কুমার দে, প্রনব কুমার দাশ গুপ্ত, কামাল উদ্দিন, সাব্বির হোসেন মিরাজ, ফোরকান মাহামুদ প্রমূখ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, চেয়ারম্যান সৈয়দ অব্দুল জব্বার সোহেল, এডভোকেট দীলিপ চৌধুরী, সৈয়দ হোসেন কোম্পানী, অনুপ চক্রবর্তী, ইমরান হোসেন ইমু প্রমূখ। সকালে র্যালি, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানিকতার পর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে আলোচনাসভা, মধ্যহ্নভোজ, স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধার অতিথি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজান সবদিকদিয়ে এগিয়ে রয়েছে। আমরা চাই সবার অংশ গ্রহনে সমিন্বিত উন্নয়ন। তিনি বলেন, সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় লেখাপড়ায় যেমন মান বেড়েছে, তেমনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্ররা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে এ বিদ্যালয় একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিনত হবে। তিনি বলেন, আমি সবসময় আছি ভাল কাজের সাথে। এসময় তিনি স্কুলে উন্নয়নে দশ লক্ষ টাকার অনুদান ঘোষনা করেন। বিশেষ অতিথি দেশের প্রধান হিসাব নিরক্ষক মুসলিম উদ্দিন বলেন, রাউজানের অজুপাড়া গ্রায়ের স্কুলে পড়ে আমি যোগ্যতার শিকড়ে এসেছি। সালামত উল্লাহ স্কুলের অনেক ছাত্র/ছাত্রী স্বস্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্টি হয়েছে। আগামীতে আরো সৃষ্টি হবে যোগ্যতার আদলে। আমি চাই এ বিদ্যাপীট সফল্যের শিকড়ে এগিয়ে যাবে প্রযুক্তিগত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে।
প্রধান বক্তা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, জিপিএ-৫ অর্জন করার জন্য কিংবা ইংরেজী মাধ্যমে লেখাপড়া করতে হবে এমন চিন্তাধারা থাকা অভিবাবকদের উচিৎ না। ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে না পড়েও ইংরেজীতে কথা বলা কোন বিষয় না। আমি অজ গ্রামের স্কুলে পড়াশুনা করেছি। আমি বিশে^র যেকোন ব্যাক্তির সাখে কথা বলি। তিনি ভারতের প্রয়াত রাস্ট্রপতি আবুল কালমের উদাহরণ টেনে বলেন, তিনি বিমানের পাইলট হতে ছেয়েছিল। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের এই মানুষটি যখন পরিক্ষা দিতে গেল তখন ফেল করল। তার স্বপ্ন বঙ্গ হল, আত্মহত্যা করতে চাইলেন। কিন্ত এক সন্যাসীর পরামর্শে গ্রামে গিয়ে আবার পড়াশুনা করতে লাগলো। সেই বিশের্^ একজন পরামানু বিশেজ্ঞ হলেন। দেশে রাষ্ট্রপতি হলেন। তিনি কল্পনাও করতে পারেনি ভারতের সর্বোচ্ছ পদে নেতৃত্ব দিবেন।
তাই তিনি সকল ছাত্র/ছাত্রীদের আত্ববিশ^সী হয়ে লেখাপড়ার করার আহবান জানান। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা বলেন, পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করার চেষ্টা করি। সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে রাউজানের সাংসদের পরামর্শে একটি মডেল স্কুলে পরিনত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ঝরাজির্ণ অবকাঠামোকে ভেঙ্গে অগ্রধিকার ভিক্তিতে দুইটি চারতলা ভবণ করেছি। শিক্ষার মান উন্নয়নে পাশের হার বৃদ্ধি করেছি। আগামীতে প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে পুণাঙ্গ বিদ্যা নিকতন করতে চ্ইা। বিদ্যালয়ে উন্নয়নে সকল প্রাক্তন ছাত্রদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি সুবর্ণজয়ন্তীতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।