চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় একটি সেতুর অভাবে ২৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২১ ০০:৪৭:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২১ ০০:৪৭:১২

জাহেদুল হক,আনোয়ারা : আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সাপমারা খালে একটি সেতুর অভাবে ছয় গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও সেতু না হওয়ায় এসব এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে চলাচল করছেন।

স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা যায়,সাপমারা খালে সেতু না থাকায় জেলা-উপজেলা সদরে যাতায়াতসহ মালামাল আনা-নেওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। অন্যদিকে রায়পুরের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বাঁশের সাঁকোয় আহরিত এসব মাছ বহনে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। এ কারণে মাছের ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার জেলেরা। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সরেজমিন দেখা যায়,সাঁকোটির কয়েক জায়গায় বাঁশ পচে গেছে। এতে সাঁকোটি নড়েবড়ে হয়ে পড়েছে। মানুষ চলাচলের সময় সাঁকো নড়তে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান,সাপমারা খালের সরেঙ্গা এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে সেতু বিভাগ একাধিকবার জরিপ কাজ চালায়। কিন্তু পরবর্তীতে তা থমকে যায়। সেতুটি নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জনমানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
খুরুস্কুল গ্রামের কৃষক আহমদ নবী বলেন,ভোটের সময় এমপি-মন্ত্রীরা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা সমস্যা থাকলেও তাদের কাছে বড় সমস্যা সাপমারা খালে সেতু নির্মাণ না হওয়া। সরেঙ্গা

গ্রামের স্কুল পড়–য়া পারভিন আক্তার জানায়,ভাঙ্গাচোরা সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া সীমাহীন কষ্ট। শীতকালে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে সাঁকোতে পা পিছলে যাওয়ার ভয় বেশি। বহুবার অনেক ছেলেমেয়ে সাঁকো থেকে খালে পড়ে গেছে। সরেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ হেলালী বলেন, সেতু না থাকায় অনেক অভিভাবক শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না। এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।

জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান চৌধুরী বলেন,একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। যার প্রভাব শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক। জনস্বার্থে সেতুটি নির্মাণ করা জরুরি। আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী জানান,ওই স্থানে সেতুর জন্য জরিপ করা হয়েছে। এ সরকারের আমলেই সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *