চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মীর সোলায়মান রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি

রাঙামাটির দুই হত্যাকান্ড দায় অস্বীকার করেছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২১ ০১:০৯:১৬ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২১ ০১:০৯:১৬

মীর সোলায়মান, রাঙামাটি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে সংগঠিত হত্যাকান্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটি ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)কে দায়ি করলেও তা অস্বীকার করেছে সংগঠন দুটি। গত মঙ্গলবার ও বুধবার সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে আলাদা বিৃবতি দিয়ে এসব হত্যকান্ডের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে বলা হয় কিছু মিডিয়া ও সরকারী দল উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশকরছে এবং বক্তব্য দিচ্ছে।

জেএসএস এর তথ্য ও প্রচার বিভাগ থেকে বিনয় কুমার ত্রিপুরা প্রেরিত এক প্রেসবার্তায় জানানো হয়. গত ১৮ মার্চ ৫ম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী কর্তৃক বাঘাইছড়ি উপজেলার নয় মাইল এলাকায় ব্রাশ ফায়ার করে ৮ জন নিরীহ নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হত্যা ও অনেককে আহত করার ঘটনায় এবং গত ১৯ মার্চ সকালের দিকে বিলাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যাকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় একটি মহল কর্তৃক জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে জড়িত করে অভিযোগ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় বাঘাইছড়িতে এবং পরের দিন সন্ধ্যায় বিলাইছড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ৮ জনকে হত্যাসহ আরো ২৫জনকে আহত করার ঘটনার সাথে জেএসএস জড়িয়ে ক্ষমতাসীনদলীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস। গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘ঘটনাস্থল ইউপিডিএফ সমর্থক অধ্যুষিত হওয়ায় কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম ও এক শ্রেণীর গোয়েন্দাসংস্থা কর্তৃক দলটিকে সন্দেহের তালিকায় যুক্ত করায় ইউপিডিএফ ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে’।

বিবৃতিতে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, ‘উক্ত উপজেলায় ইউপিডিএফ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে নিষ্ক্রিয় ছিল এবং ইউপিডিএফ’র কোন প্রার্থীও ছিল না, তাহলে ইউপিডিএফ কেন নির্বাচনী টিমের ওপর হামলা করে নিজেদের অহেতুক বিতর্কে জড়াবে’?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *