চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ প্রার্থী

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৩ ২৩:১৭:২২ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৩ ২৩:১৭:২২

আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ : আজ (রবিবার) বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ সুষ্টু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৬ জন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. সাজ্জাদ হোসেন (দোয়াত কলম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা বেগম জলি (আনারস) এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা: তিমির বরণ চৌধুরী (উড়োজাহাজ), ছৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু (বই) ও মো. সাহাবুদ্দিন চৌধুরী (তালা)।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার পটিয়ায় ১৭ ইউনিয়ন ও ১টি ১ম শ্রেণীর পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৬ ভোট। এতে পুরুষ ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪২৩, মহিলা ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৪৩ ভোট। প্রতি কেন্দ্রে ১৬ জন করে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ৪টি বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ৩৫টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ৬ জন ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে থাকবে বলে পটিয়া নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু ছাঈদ জানান। এবার সর্বমোট ১১৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে প্রতি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং সহ প্রয়োজনীয় কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে স্ব-স্ব কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন এবং নির্বাচনে যাতে কোনো রকমের অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানান।

গতকাল নির্বাচনের প্রাক্কালে আলাপকালে ভোটাররা জানান, প্রথম দিকে প্রচারণা ঢিমে তালে চললেও শেষ দিকে সব প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে চষে বেড়ানোর ফলে পটিয়ায় নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আশাবাদী পটিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে সব ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং একজন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে আগামীতে পটিয়ার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি দক্ষিণ চট্টলা.কম কে বলেন, পটিয়ায় নির্বাচনে সব প্রার্থী সমান সুযোগ ভোগ করেছে। কোনো প্রার্থীকে প্রচার প্রচারণায় কারো পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। সবাই নিজের অবস্থান ভোটারদের সম্মুখে তুলে ধরেছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পটিয়া থেকে তিন তিন বার নির্বাচিত এমপি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পটিয়ায় পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্রও আমরা তুলে ধরেছি। এমনকি আমি আমার বিগত রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের যাবতীয় চিত্রও জনগণের সামনে নির্বাচনী প্রচারণায় তুলে ধরে তাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থণা করেছি। আমার বিশ্বাস পটিয়ার মানুষ খুবই সচেতন। তারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না। তারা সারাদেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর প্রার্থী হিসেবে আমাকেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবেন। আমি পটিয়াবাসীকে এটুকু আশ্বস্থ করতে চাই আল্লাহর অসীম মেহেরবানী ও সকল ভোটারদের এবং পটিয়াবাসীর দোয়ায় আমি যদি নির্বাচিত হই পটিয়াকে একটি দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক উপজেলায় পরিণত করবো। এমনকি মাননীয় হুইপের সমন্বয়ে পটিয়ার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট থাকবো।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ডা. তিমির বরণ চৌধুরী বলেন, আমি নৌকার মনোনীত প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে উড়োজাহাজ প্রতিক নিয়ে লড়ছি। পটিয়ায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে আমি উড়োজাহাজ মার্কায় ভোট প্রার্থণা করছি। আশা করি পটিয়ার জনগণ আমাকে সরকারের উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে তাদের রায় দিয়ে নির্বাচিত করবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন আরো দুই প্রার্থী তার মধ্যে মহিলা প্রার্থী আফরোজা বেগম জলি। তিনিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সুষ্টু ভোট হলে তিনিও বিজয়ী হতে পারবেন।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী ভোটাররা আমাকে তারুণ্যের প্রতিক হিসেবে ভোট দেবেন। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পীরজাদা এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু বলেন, আমি বিগত ৫ বছর জনগণের সেবায় ছিলাম, এবারও বই মার্কায় প্রার্থী হয়েছি। আমার বিশ্বাস জনগণ ভোট দিতে আসলে আমি বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ। ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলাম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম পটিয়াবাসী আমাকে চিনে। আমার বিশ্বাস সুষ্টু ভোট হলে আমি বিজয়ী হবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *