আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৬ ১৯:৪২:২৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৬ ১৯:৪২:২৭
আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ : পটিয়ায় টান টান উত্তেজনায় অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে এ নির্বাচনে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিলেও বিকেলে ভোটার উপস্থিতি কমতে থাকে। এরপরও নির্বাচনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। রাতে ফলাফল ঘোষণার পরই বিভিন্ন এলাকা থেকে পুস্পাঞ্জলী নিয়ে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরীকে নেতাকর্মীরা সংবর্ধিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সচিব ও পৌর মেয়র এবং উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পদাক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ।
এরপরেই নির্বাচিতরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পটিয়া থেকে তিন তিন বার নির্বাচিত সাংসদ হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর সাথে। এসময় তারা একে অপরকে ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন। তাৎক্ষণিক বক্তব্যে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, পটিয়ার উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। আজ পটিয়াবাসী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার মাধ্যমে পটিয়ার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক নব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি আশা করি এ গণ রায়কে সম্মান প্রদর্শণের মাধ্যমে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পটিয়ার জন্য আমার সুপারিশক্রমে পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকান্ড গতিশীল করতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা) পান ১ লক্ষ ২১ হাজার ১৬৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সাজ্জাদ হোসেন (দোয়াত কলম) পান ২৬২৫ ভোট। আফরোজা বেগম জলি (আনারস) পান ২৩৮৮ ভোট। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ডা. তিমির বরণ চৌধুরী (উড়োজাহাজ) পান ৯২ হাজার ৪৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী পীরজাদা এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু (বই) পান ২৫০৫৬ ভোট। তালা প্রতিকের প্রার্থী সাহাব উদ্দিন পান ৮৩৬৮ ভোট।