চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মীর সোলায়মান রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনার সময় হয়েছে-চট্টগ্রাম জিওসি মীর

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৭ ২৩:৫৫:০৭ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৭ ২৩:৫৫:০৭

সোলায়মান, রাঙামাটি : সন্ত্রাসবাদ মূলৎপাঠনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প পুণ:স্থাপনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনার সময় হয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মতিউর রহমান। তিনি বলেন যারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের স্বপ্ন কখনো পুরণ হতে দিবে না দেশের মানুষ। তিনি বলেন, সন্ত্রাস কারও জন্য আর্শিবাদ নয়, অভিশাপ। বুধবার (২৭মার্চ) দুপুরে মারিশ্যা ২৭বিজিবি জোনে বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কাজে নিহতদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জিওসি আরও বলেন, গত ১৮ই মার্চ ঘটনাটি শুধু পার্বত্য অঞ্চলের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য একটা কালো অধ্যায়। কারা ঘটনা ঘটিয়েছে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা প্রকৃত আসামীদের ধরার চেষ্টা করছি। তারা কখনো পার পাবে না। এর আগে মতবিনিময় সভায় যোগদানের পূর্বে জিওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই এলাকায় হামলার কারণ চিহ্নিত করেছেন।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ প্রধান মোঃ খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের আনসার ভিডিপির ডি ডি জি মোঃ সাসছুল আলম, খাগড়াছড়ি ২০৩ ব্রিগ্রেড কমান্ডার, মোঃ হামিদুল হক, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ। মতবিনিময় সভার পর চট্টগ্রাম ২৪পদাধিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে বাঘাইছড়ির ঘটনায় নিহত ৭জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০হাজার টাকা করে অনুদান দেন জিওসি। গত ১৮মার্চ নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ নির্বাচনী কাজ শেষে করে বাঘাইছড়ি সদরে ফিরে আসার সময় একদল সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিত গুলি করে। এ ঘটনায় ৮জন নিহত হয়। এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি থানায় অজ্ঞাত ৫০জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। # ছবির ক্যাপশন : রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাদীদের হামলায় নিহতদের পরিবারের সাথে মনবিনিময় করেন সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মতিউর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *