বেলাল আহমদ বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-৩১ ০০:০৯:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৩-৩১ ০০:০৯:১২
বেলাল আহমদ : বান্দরবানের লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ রোকসানা বেগম (৩৬)। স্বামী দিনমজুর মো. এখলাস উদ্দিন যা আয় করে তা দিয়েই চলে সংসার ও ২ মেয়ে ১ ছেলের লেখাপড়া। কোন রকম খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন। কিন্তু সে সাধারণ জীবন ধারনের সুযোগও আর রইলনা। তার শরীরে বাসা বেধেছে মরণ ব্যাথি ক্যান্সার। রোগের সুত্রপাত আজ থেকে সাড়ে ৪ বছর আগে। সবসময় পেট ব্যাথা লেগেই থাকত। ডায়রিয়া ও পেট ব্যাথায় অতিষ্ট হয়েও অভাবের তাড়নায় ভাল ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে চলে নানা ধরনের চিকিৎসা। কোনমতে ব্যাথা যেন যাচ্ছিল না। বছর খানেক কষ্ট পাওয়ার পরে কোন মতে চট্টগ্রাম একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার নানা পরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হলেন, তার পায়ুপথে টিউমার। ডাক্তারের পরামর্শে নিজের সর্বস্ব দিয়ে পর পর ২ বার অপারেশন করা হল। টিউমার অপারেশন করা হলে সেখানে ধরা পরে মরণব্যধি ক্যান্সারের।
ডাক্তার বলেন, রোগীর সুস্থতার জন্য ৬টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। নিজের শেষ সম্বল বিক্রি করে কোনমতে ৪টি কেমো থেরাপি দিলেও টাকার অভাবে বাকী কেমো দেয়া সম্ভব হয়নি। তারপরে কেটে দুঃখ কষ্টে কেটে গেল আরো ২টি বছর। আর্থিক সংকটে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে না পারায় এখন রোকসানা শরীরের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। বর্তমানে তার চিৎকারে আশপাশের বাতাস ভারী হয়ে আসছে। টাকা জন্য হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। ঘরে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। করুণ এই পরিস্থিতিতে রোকসানার সন্তান ও স্বামী সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন। নাজুক এই অবস্থা দেখে সমাজের সবাই মিলে চাঁদা তুলে গত ২৬ মার্চ ২০১৯ইং মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম পাচলাইশস্থ নিরাময় হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তার পুণরায় দেখে বলেন, এখন আবারো ৬টি কেমো দিতে হবে। সেখানে ডাক্তারের পরামর্শ মতে ২৭ মার্চ ২০১৯ইং প্রথম কেমোথেরাপি দেয়া হয়। যাতে ব্যয় হয় ৩০ হাজার টাকা। সবাই তুলে দিয়েছিল প্রায় ২০ হাজার টাকার মত। হাসপাতালে বকেয়া পড়েছে আরো ১০ হাজার টাকা। যা পরিশোধ করতে না পারায় স্ত্রীকে আনতে পারছেন না। একইভাবে রোকসানাকে সুস্থ করতে হলে আরো ৫টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। যাতে প্রয়োজন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকার বন্ধোবস্ত করা দিনমজুর পরিবারের পক্ষে একেবারে অসম্ভব।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অনকোলজিষ্ট (এমবিবিএস, এফসিপিএস) ডাঃ আলী আসগর চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নিরাময় হাসপাতালের ২য় তলায় ১৬নং কক্ষে রোকসানার চিকিৎসা চলছে। এমন যন্ত্রণা নিয়ে আরও কতদিন এভাবে থাকতে হবে, তা জানে না কেউ। থেরাপি দিতে অনেক টাকার দরকার। আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষিরা বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। একই ব্যক্তির কাছে সহায়তা চেয়ে বারবার যাওয়া সম্ভব না। তাই যদি কোনো হৃদয়বান তার চিকিৎসার এগিয়ে আসেন তাহলে হয়তো বাঁচতে পারে ৩ সন্তানের মা অসহায় রোকসানা।
দিশেহারা স্বামী ছুটে চলেছেন এক দুয়ার থেকে আরেক দুয়ারে। মানুষ কতোটা নিরুপায় হলে অন্যের কাছে হাত পাতে ? প্রশ্ন করুন সবাই নিজেকে। তারপর ভাবুন কি করা যায় ? সকলকে বিষয়টি ভাবার বিনীত অনুরোধ করছি।
যোগাযোগ ও সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: মো. এখলাছ উদ্দিন (স্বামী) মুঠোফোন- ০১৮৭২৫০৯৯৭১, বিকাশ নম্বর- ০১৮৩৪৪১৮৩৩৮ (পার্সোনাল) ব্যাংক হিসাব নাম্বার- ৮১০১ (সঞ্চয়ী হিসাব) হিসাবধারীর নাম মো. এখলাছ উদ্দিন, লামা শাখা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, লামা, বান্দরবান।