নূর হোসেন মামুন , কাপ্তাই প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-৩১ ২২:৪৬:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-০৩-৩১ ২২:৪৬:৩৪
নূর হোসেন মামুন, কাপ্তাই- পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম এলাকা সমূহে স্বাস্থ্য সেবা মান নিয়ে অভিযোগের হিরিক নতুন নয়। পাহাড়ের লোকজন অসুস্থ্য হলে যথোপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা পেতে পাড়ি দিতে হয় শহরে। দূর্গম এলাকা থেকে দীর্ঘ সময়ের এই ভ্রমণে কিঞ্চিত অসুস্থ্য মানুষটির অবস্থা হয়ে যায় ভয়াবহ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পাহাড়ে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার অন্যতম ঠিকানা চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালটি গত কয়েক বছর ধরে তার পূর্বের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। তবে হাসপাতালটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নতুন করে একটি প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে।
প্রজেক্টের আওতায় জার্মান থেকে আসা একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হবে। গত ৯ মার্চ থেকে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল হাসপাতালে যোগ দিয়েছে। এরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সার্জারী, এনেসথেসিয়া ও গাইনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের (বিবিসিএস) ঢাকাস্থ কার্যালয়ে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল ও কুষ্ঠ হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের এক সভায় চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে পূর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ডা. প্রবীর খিয়াংকে।
পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। তিনি আরে বলেন, আগামীতে হাসপাতালে আমেরিকান চিকিৎসক দম্পতি আসবেন। এদের মধ্যে একজন সার্জারী ও অপরজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এছাড়া কুষ্ঠ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই চেম্বারে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চোখ, নাক, কান, গলার সমস্যায় ভুগছে এমন রোগী দেখবেন। কুষ্ঠ হাসপাতেলে একটি উন্নতমানের ফিজিওথেরাপি সেন্টার খোলা হবে। এধরনের আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বলে ডা. প্রবীর জানান। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন।