চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় বিভক্ত বিএনপিতে ঐক্যের সুর

প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০৬ ০১:৪৬:৫১ || আপডেট: ২০১৯-০৪-০৬ ০১:৪৬:৫১

জাহেদুল হক,আনোয়ারা :
আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির বিবদমান দুটি পক্ষ দীর্ঘ ১০ বছর পর একত্র হচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তারা দল গোছানোর ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আদালত পাড়ার একটি রেস্তোরাঁয় দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়,২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আনোয়ারা বিএনপি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম একটি পক্ষের এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য প্রবীণ আইনজীবী মোহাম্মদ কবির চৌধুরী অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন। দুই পক্ষেরই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আলাদা কমিটি আছে। উপজেলা বিএনপির একাংশের কমিটিতে শাহজাহান চৌধুরীকে সভাপতি ও মোহাম্মদ রফিককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অপর পক্ষের কমিটিতে মোশাররফ হোসেনকে সভাপতি ও মোজাম্মেল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দুটি পক্ষ দলীয় কর্মসূচিও পালন করে আসছে আলাদাভাবে।
২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কবির চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি প্রয়াত জালাল উদ্দিন আহমেদ দলীয় মনোনয়ন পেলেও ওই সময় নিজাম সমর্থকরা জালালকে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর জালাল উদ্দিনের মৃত্যু হলে ওই পক্ষে আলোচনায় আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। তখন থেকে তিনি কবির চৌধুরী পক্ষের কমিটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। গেল একাদশ সংসদ নির্বাচনেমোস্তাফিজুর রহমান দলীয় মনোনয়ন চাইলেও দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেন সরওয়ার জামাল নিজাম। সেবার নিজাম বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করেননি বলেও পাল্টা অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা।

শেষতক দৃশ্যমান ভেদাভেদ ভুলে দলের মধ্যে ঐক্যের সুর বাজতে শুরু করে। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী দুই পক্ষকে একত্রিত করার আলোচনা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,এখানে দলের বিভক্তি নিরসন হলে বিএনপিকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তাই দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের একীভূত করার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। দলীয় নির্দেশ পেলেই এককভাবে নতুন করে উপজেলা কমিটি করা হবে। উপজেলা বিএনপির অপর কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন,দলকে চাঙ্গা করতে হলে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আন্তরিক হতে হবে। প্রাথমিক আলোচনায় দুই পক্ষের মধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *