এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৭ ০৪:৩৪:০৯ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৭ ০৪:৩৪:০৯
এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই:
দীর্ঘ তিন দশক ধরে ঐতিহ্য আর সুনাম ধরে ব্যবসা করে আসছে বারইয়ারহাট লাকি ফ্যাশন মল। গত কয়েক বছরের তুলানায় এবার ক্রেতাদের ভিড় আরো বেশি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের পছন্দমত কেনাকাটা করছে মানুষ। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতা অনেক বেশি। ঈদকে ঘিরে মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শনিবার (২৫ মে) সকালে গিয়ে দেখা গেছে, তিল ধারনের ঠাঁই নেই সেখানে। বিশেষ করে তৃতীয় তলায় নারী-শিশুদের পছন্দ ভিড় রয়েছে। সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে কেনাকাটা করতে এসেছেন। এখন শাড়ি থ্রী-পিস এর পাশাপাশি বাচ্চাদের আইটেম বেশি বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলা ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত কেনাকাটা করে থাকেন পাশ্ববর্তি ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, ফটিকছড়ি, রামগড় উপজেলার লোকজন। ৩ দশক ধরে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসা করে মানুষের শতভাগ আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সারা বছর ব্যস্ততা থাকে এখানে। তবে ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা অনেকগুন বেড়ে যায়। বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বারইয়ারহাট পৌরসভার মসজিদ গলিতে বিশাল স্পেস নিয়ে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে এবারো হরেক রকম নিত্য নতুন কালেকশান রয়েছে।
বারইয়ারহাট মসজিদ গলিতে অবিস্থত লাকি ফ্যাশন মলে ক্রেতাদের ভীড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাচ্ছাদের পোষাকের বিশাল সমাহার দর্শকদের নজর খাড়া কাপড় সহজে পছন্দ করে নিচ্ছে ক্রেতসাধারণ। পাশে রয়েছে জুতা, সু ও সেন্ডেলের বিপুল কালেকশান সমৃদ্ধ শো রুম।
লাকি ফ্যাশন মলের বিক্রয় কর্মী মাঈন উদ্দিন ও রুবেল বলেন, মাসের শুরুতে ক্রেতা কম থাকলেও এখন ভীড় বেড়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মলে ক্রেতাদের ভীড়ও বাড়ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় থাতবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঈদ ঘিরে নতুন নতুন পণ্যের সমাহার নিয়ে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। শাড়ির মধ্যে রয়েছে ফাঞ্জিবরন কাতান, বেংলোর কাতান, সফট সিল্ক, পিওর সিল্ক কেটালক, জর্জেট, শিপন, কাতান, কেটালক সুতি, তাঁতের শাড়ি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন জামদানি। থ্রি-পিসের মধ্যে কাটা থ্রি-পিস, গাউন, পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান থ্রি পিস, জপটপ, পানসু ফ্রগ, টপস্, সারারা ইত্যাদি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তিন তলা বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিচতলায় রয়েছে থ্রিপিস, পাঞ্জাবী, লুঙ্গী, গেঞ্জি সহ বিভিন্ন আইটেম। ২য় তলায় রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবী ও পাটি পাঞ্জাবী, শেরোয়ানী, পাগড়ি ও ছোট বাচ্চাদের পাঞ্জাবী সেট। তৃতীয় তলায় রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, থান কাপড়, বেবি সপ, গার্মেন্টস, (লেডিস) কসমেটিকস, ইমিটেশন জুয়েলারি, গিফট্ আইটেম, লাগেজ, জুতা ক্রোকারিজ। উত্তর চট্টগ্রামের মধ্যে এত বড় শপিং মল আর কোথাও নেই। একদামে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার ভয় নেই। সর্বনিম্ম ৫টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য রয়েছে লাকি ফ্যাশনে।
কথা হয় ঈদের কেনাকাট করতে আসা উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামের গৃহবধূ শারমীন সুলতানার সাথে। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন আইটেমের কালেকশান বেশি থাকায় পচন্দ করে কেনা যায়। আরেকটি পন্যের জন্য অন্য জায়গায় যাওয়ার ঝামেলা নেই।
লাকী ফ্যাশন মলের স্বত্ত¡াধিকারী মোঃ শামসুদ্দিন বলেন, বেচা-বিক্রি মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি রমজানের শেষের দিকে আরো বেশি বিক্রি হবে। অন্যদিনের তুলানায় ছুটির দিনে ভিড় বেশি থাকে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বারইয়ারহাট বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি।